রেড রোডে নেত্রীর ধর্না মঞ্চে ভাঙা পায়ে হুইলচেয়ারে হাজির কুণাল,দেখেই মঞ্চ থেকে নেমে এলেন মমতা ,রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চের সামনে হুইলচেয়ার। বসে রয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কথা বললেন কুণালের সঙ্গে। একটু পরে কুণালকে নিয়ে হুইলচেয়ার গেল গাছের ছায়ায়। ঘণ্টাখানেক থাকার পরে গাড়িতে করে চলে গেলেন। দূর থেকে এর সবটাই দেখা গিয়েছে। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে কী কথা হল নেত্রী মমতার সঙ্গে? শুধুই কুশল প্রশ্ন? না, অনেক পরামর্শও পেলেন কুণাল।
বৃহস্পতিবার ফাঁকায় ফাঁকায় মমতার ধর্নাস্থল থেকে ঘুরে এলেন বলে জানিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘দলের এত বড় দু’টি কর্মসূচি কিন্তু আমায় চিকিৎসকের নির্দেশে ঘরে বসে থাকতে হয়েছে। ভিড়ের জন্য যেতে পারিনি। আর মনে হচ্ছিল, দলের সর্বময় নেত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন ধর্নায় বসে রয়েছেন তখন এক বার তো যেতেই হবে। তাই সকালে ফাঁকায় ফাঁকায় গিয়ে ঘুরে এসেছি।’’কী কথা হল দিদির সঙ্গে? কুণাল বলেন, ‘‘আমি অভিভূত যে, পৌঁছেছি জেনেই মমতাদি নিজে চলে আসেন। আমার পায়ের খোঁজ নেন। অনেকে আমায় মঞ্চে ধরে ধরে তুলবেন বলেছিলেন, কিন্তু আমি রাজি হইনি। পাশে একটা গাছের ছায়ায় গিয়ে বসেছিলাম।’’ ঘণ্টাখানেক ছিলেন কুণাল। সেই সময়ে মমতা কুণালের জন্য ছাতা নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেন। কুণাল বলেন, ‘‘দিদি তো সকলের খোঁজখবর রাখেন সব সময়। আজকেও আমি যে হেতু অসুস্থ, তাই আমার মাথায় ছাতার জন্য তিনি উতলা হয়ে ওঠেন। আমি অবশ্য জানিয়ে দিই, দরকার হবে না। আসলে আমি ছায়াতেই ছিলাম।’’
বুধবার রাজ্য রাজনীতির কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল কলকাতা। সব দলেরই ছিল কর্মসূচি। তৃণমূলের আবার দুটো। একটি মমতার ধর্না। দ্বিতীয়টি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহিদ মিনারের সভা। সাধারণ ভাবে হলে দু’টিতেই কুণালের থাকার কথা ছিল। কিন্তু কোনওটিতেই তাঁকে দেখা যায়নি। বুধবার দু’টি জায়গাতেই খুব ভিড় ছিল।
আরও পড়ুন – কম্বলকাণ্ডে জেলবন্দি বিজেপির জিতেন্দ্রকে বর্ধমান মেডিক্যালে রেফার
ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে চোট, হাসপাতালে চিকিৎসা, অপারেশন, টানা বিশ্রাম। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এমনটাই জীবন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। বাড়িতে শুয়ে আছেন কিন্তু রাজনীতিতে সক্রিয়।