দিল্লির রাজঘাটে অশান্তি, তৃণমূল কর্মীদের তাড়া রাজধানীর পুলিশদের

তৃণমূলের কর্মসুচির দ্বিতীয় দিনে যন্তরমন্তরের সামনে কড়া নিরাপত্তা দিল্লি পুলিশের

দিল্লিতে তৃণমূলে দুদিনের কর্মসূচিতে আজ রাজঘাটে গান্ধীজীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হলো তৃণমূলের সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠান। শুরু হওয়ার কিছু সময় পর এই সত্যাগ্রহ অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। পুলিশি অনুমতি না মেলা সত্ত্বেও দু’ঘণ্টা ধরে রাজঘাটে গান্ধীজির সমাধিস্থলে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতৃত্ব প্ল্যাকার্ড হাতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেন। কর্মসূচি শেষে রাজঘাটের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন তিনি। ঠিক সে সময়ই পুলিশ মাইকিং শুরু করে। দ্রুত রাজঘাট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলে দিল্লি পুলিশ। আর তারপরই শুরু হয় উত্তেজনা। সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হলো তৃণমূলের দুদিনের দিল্লির কর্মসূচি

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা রাজঘাটে শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ কর্মসূচি পালন করেছি। আমরা সকলেই ১টা নাগাদ সেখানে পৌঁছই। গান্ধিজীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করে আমরা প্ল্যাকার্ড হাতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করি। কোনওরকম রাজনৈতিক স্লোগানিং কিংবা কারও নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হয়নি। ২ ঘণ্টা বলেছিলাম, ঠিক ২ ঘণ্টাই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নীরবে অবস্থান বিক্ষোভ করেছি। কিন্তু, প্রতি ১০ মিনিট অন্তর পুলিশ এসে আক্রমণ করেছে। CRPF, CISF, দিল্লি পুলিশ এসে বার বার বাধা দেয়। চূড়ান্ত অসহযোগিতা করা হয় আমাদের সঙ্গে।’

 

এর মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন পুলিশ মাইকিং করে বলে, ‘এখান থেকে চলে যেতে হবে। রাজঘাটের গেট আর আটকে রাখা যাবে না। দীর্ঘক্ষণ সাধারণ মানুষ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁরা গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারছেন না। আপনারা তো জনপ্রতিনিধি। এখানে এমনভাবে পথ আটকে সাংবাদিক বৈঠক বা কোনও কর্মসূচি নেওয়া যাবে না। এটা অনুচিত।’

 

সুজিত বসুর অভিযোগ, তাঁর পায়ে পুলিশ বুট দিয়ে চেপে দিয়েছে। তাঁর জুতো হারিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁকে খালি পায়ে রাজঘাট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। পুলিশের সঙ্গে চূড়ান্ত বচসা বেঁধে যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় দিল্লি পুলিশের। কার্যত রণক্ষেত্রের পরিস্থিত তৈরি হয় রাজঘাট চত্বরে। তাঁর জুতো হারিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁকে খালি পায়ে রাজঘাট থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। পুলিশের সঙ্গে চূড়ান্ত বচসা বেঁধে যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় দিল্লি পুলিশের। কার্যত রণক্ষেত্রের পরিস্থিত তৈরি হয় রাজঘাট চত্বরে।

en.wikipedia.org