বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য পাগল। আমার প্রশ্ন জেলা বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ে কেন? কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতি মন্ত্রী আসতেই পারেন। একশো বার আসতে পারেন। কিন্তু সেখানে জেলা বিজেপি নেতা কেন? এভাবেই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সাথে বিজেপি নেতাদের সাথে উপাচার্যের বৈঠককে কটাক্ষ করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত (Anubrata) মণ্ডল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য পাগল। মাঝে মধ্যে ঘরে ডিশ ভাঙেন। তখন উনার স্ত্রী ইনজেকশন দিয়ে তাঁকে ঠিক করেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মিটিং করবো। দরকার হলে কেন্দ্রীয় ভবনের সামনে করবো। উনি মনে করছেন যা ইচ্ছে তাই করবেন? বিশ্ব ভারতীতে রঙ লাগাবেন? তা হতে দেব না।
উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বে ১৮ অগাস্ট বর্ধমান সার্কিট হাউস থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত শহীদ সন্মান যাত্রার রুট ম্যাপ করা হয়েছে। সেই রাজনৈতিক কর্মসূচীর মধ্যে বিশ্বভারতীকে যুক্ত করা হয়। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এই ঘটনা তে আশ্রমিক ও ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ নিন্দার ঝড় তুলেছে।
আর ও পড়ুন কারাগারে অনেকটা নীরবে সময় কাটচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নায়িকা পরীমনি (Porimoni)
এমনকী রবীন্দ্র পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর এর জন্য উপাচার্য কে দায়ী করছেন। বিজেপির নেতৃত্ব অর্থাৎ বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা উপাচার্যের সাথে কিভাবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বৈঠক করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। ঠাকুর পরিবারের সদস্য ও আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর জানান যে, বিশ্বভারতীর কে আর বাঁচানো যাবে যা শুরু হয়েছে।
গুরুদেব কখনো রাজনৈতিক সংগঠন হস্তক্ষেপের কথা বলেনি। এমনকি আগে কখনো এমন হয়নি যা এখন দেখতে হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল কোনো দিন ঢোকে নি এখন এমনটাই হচ্ছে। এর জন্য মূলত: দায়ী উপাচার্য। বিশ্বভারতীর গেরুয়া করণ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে বিশ্বভারতীর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। কেন্দ্রের গ্রন্থাগার থেকে উপাচার্য সাথে বৈঠক সেরে বাহির হাওয়ার পথে কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার জানান যে, বিশ্বভারতী তে আসা শুধুমাত্র এক সৌজন্য সাক্ষাৎকার। শিক্ষার সাথে যুক্ত আছে তাই উনি এসেছেন। ছাত্র সাসপেন্ড নিয়ে এক প্রশ্নের তিনি বলেন, পুরোটা তদন্ত প্রক্রিয়ায় আছে । বর্ধমানের গলসীতে কালো পতাকা দেখানো নিয়ে মুখ খুলতে চাননি মন্ত্রী সুভাষ সরকার।