এবার রাজ্যের যেকোনও প্রবীণই বার্ধক্যভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এবার রাজ্যের যেকোনও প্রবীণই বার্ধক্যভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। শর্তাবলী মেনে আবেদন করলে মাসে ১ হাজার টাকা করে বার্ধক্যভাতা পেয়ে যাবেন তাঁরা। আজ থেকে ফের রাজ্যে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার শিবির। সপ্তমবারের দুয়ারে সরকারে গোটা মাসজুড়ে রাজ্যজুড়ে প্রায় ২ লক্ষ শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে।

১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে সরকারের আরও একটি শিবির। লক্ষ্য ৩৫টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। ১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর ও ১৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, মোট দু’টি পর্যায়ে চলবে এই শিবির।আবেদন করতে পারবেন রাজ্যের যে কোনও প্রবীণ। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন,  এবার চারটি নতুন পরিষেবা দুয়ারে সরকার শিবির থেকে পাওয়া যাবে।এতদিন জয় জওহর প্রকল্পে এবং তপশিলি বন্ধু প্রকল্পে তপশিলি জাতি ও উপজাতির ৫৯ বছরের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরাই আবেদন করতে পারতেন। আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের  প্রাপকরা ৬০ বছর হয়ে গেলে বার্ধক্যভাতা পাচ্ছিলেন। এবার রাজ্যের যেকোনও প্রবীণই বার্ধক্যভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

শর্তাবলী মেনে আবেদন করলে মাসে ১ হাজার টাকা করে বার্ধক্যভাতা পেয়ে যাবেন তাঁরা।এবার দুয়ারে সরকার শিবিরে, পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের উদ্যম পোর্টালে নাম নথিভুক্তকরণ এই শিবির থেকেই হবে। পাশাপাশি তাঁতি ও হস্তশিল্পীরাও নানা ধরণের সুযোগ পেতে এই শিবিরে আবেদন করতে পারবেন। রাজ্যজুড়ে ২ লক্ষ দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব, যার মধ্যে ৩৬ শতাংশ ভ্রাম্যমান শিবির কন্য়াশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্রের মতো পরিষেবার পাশাপাশি বিধবা ভাতা, OBদের স্কলারশিপ দেওয়ার প্রকল্প মেধাশ্রী, মাইক্রো ইরিগেশন প্রকল্প এবং ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড-এই সমস্ত প্রকল্পের পরিষেবাও এবার মিলবে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে।

এবার রাজ্যের যেকোনও প্রবীণই বার্ধক্যভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। শর্তাবলী মেনে আবেদন করলে মাসে ১ হাজার টাকা করে বার্ধক্যভাতা পেয়ে যাবেন তাঁরা।

এবার রাজ্যের যেকোনও প্রবীণই বার্ধক্যভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। শর্তাবলী মেনে আবেদন করলে মাসে ১ হাজার টাকা করে বার্ধক্যভাতা পেয়ে যাবেন তাঁরা।নাগরিক সুবিধার্থে স্থায়ী এবং ভ্রাম্যমাণ দু’ধরনের শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় এক লক্ষ শিবিরে আবেদনপত্র গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই শিবিরগুলির মধ্যে ৩৬ শতাংশ ভ্রাম্যমাণ এবং বাকি ৬৪ শতাংশ প্রচলিত শিবির। এ ছাড়াও পরিষেবা প্রদানের কাজ সফল ভাবে করার জন্য রাজ্যস্তরীয় সম্পাদনকারী দল তৈরি করা হয়েছে।

গ্রাহকেরা http://ds.wb.gov.in এই ওয়েবসাইটে নিকটবর্তী শিবিরের খোঁজ পাবেন। ব্লক, জেলা এবং রাজ্য স্তরে কন্ট্রোলরুম তৈরি করা হয়েছে। শিবির তদারকির জন্য জেলা এবং মহকুমা স্তরে ৪১ জন আমলাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। উপযুক্ত আবেদনকারীদের সকল পরিষেবা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এর মধ্যেই প্রদান করা হবে। যে সকল আবেদনপত্রের অনুমোদন করা হবে না তার কারণও বলে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। সেগুলি হল— ১৮০০-৩৪৫-০১১৭/০৩৩-২২ ১৪০১৫২।