প্রতিবেশী তিন দেশ ভুটান, নেপাল এবং বাংলাদেশের সৌজন্যে শিলিগুড়ি ক্রমশ হেলথ হাব হিসাবে গড়ে উঠছে। উত্তরবঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আরও এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস দিলেন উদ্যোগীরা। পরিস্থিতি এমন যে শিলিগুড়িতে এখন একটা বড় মাপের নার্সিংহোমের জন্য জমি সংগ্রহ করা কঠিন। ফলে উদ্যোগীদের নজর গিয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আরও এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস দিলেন উদ্যোগীরা।
আরও পড়ুনঃ ঝালদায় দলবদল নিয়ে কটাক্ষ কৌস্তভের
শুক্রবার শিলিগুড়িতে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের উত্তরবঙ্গ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় উদ্যোগীরা এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। শিলিগুড়ির ঘোষপুকুরের কাছেই প্রায় দেড়শো কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি মেডিক্যাল এডুকেশন সেন্টার তৈরি হচ্ছে। সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ মাপের হাসপাতাল ছাড়াও নার্সিং কলেজ, প্যারামেডিক্যাল কলেজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়িতে ৮২ কোটি টাকায় একটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরিতে নেমেছেন শিলিগুড়িরই এক চিকিৎসক। রাঙাপানিতে একটি বেসরকারি সংস্থা তাঁদের ক্যান্সার হাসপাতালে আরও ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা এদিন ঘোষণা করেন।
আরএ একটি বেসরকারি সংস্থা শিলিগুড়িতে ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন রোগনির্ণয়ের পরিকাঠামো উন্নত করার কাজে। সিআইআইয়ের চেয়ারম্যান প্রদীপ আগরওয়ালা বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে পর্যটন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে প্রচুর বিনিয়োগ আসছে। তার মধ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ছে। বিনিয়োগকারীদের সুবিধে এবং অসুবিধেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একশো শয্যার ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরির কাজে নেমেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। স্বাস্থ্য সচিব এদিন শিলিগুড়িতে সিআইআইয়ের সভাতেও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি এখানে বলেন, ‘রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনেক কাজ করছে। তবে কেবল রাজ্য সরকারের একার পক্ষে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোগীদেরও দরকার। সকলে মিলেই কাজ করতে হবে। আজ এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হল।’ স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, গত বছর স্বাস্থ্যস্বাথী প্রকল্পে সাড়ে ১৬ লক্ষ মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন।
চলতি বছরে প্রতিদিন অন্তত সাত হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে সুবিধা পাচ্ছেন। তার পরেও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে খতিয়ে দেখার জন্য জেলা স্তরের কমিটি গঠন করা হয়েছে।