দিদিকে কটাক্ষ অধীরের, পাল্টা তৃণমূল

পুরানো সংসদ ভবনে শেষ ভাষণ অধীরের, উঠে এল দেশকে উন্নত করার বার্তা

দিল্লিতে জোট করলেও রাজ্যে একে অপরের বিরোধী। সেটা যেন বারংবার প্রকাশ্যে আসছে। আর ফের একবার অধীরের কটাক্ষ মমতাকে। লোকসভা নির্বাচনে জোটের জন্য দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বাংলায় শাসক তৃণমূলের কাজকর্মের বিরোধিতা অব্যাহত রাখছেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের পাশে থাকার কথা বলেও বিজেপির সঙ্গে বোঝাপড়া রেখে চলেছে তৃণমূল।

আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ

যাকে বলে ‘দু’নৌকোয় পা দিয়ে চলা’। তৃণমূলের আবার পাল্টা দাবি, বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল-বিরোধিতা করে বিজেপির সুবিধা করতে চাইছে কংগ্রেস।

 

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে শুক্রবার ডায়মন্ড হারবারের রবীন্দ্র ভবনে ছিল সমাবর্তন সভা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতিতে সেখানে জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে দলের ৪৪ জন জয়ী প্রার্থীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। এমন সভার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারকে বেছে নেওয়ার মধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেসের বার্তা স্পষ্ট বলে রাজনৈতিক শিবিরের মত। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে
পঞ্চায়েত ভোট প্রহসনে পরিণত হয়েছিল, এই অঞ্চলে পুলিশ ও শাসক দলের বাহিনী মিলে বিরোধীদের উপরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অধীর।

 

সভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ”ডায়মন্ড হারবারের খোকাবাবু খুব বিপদে রয়েছে। তাই তাকে বাঁচাতে দিদি জি২০ নৈশভোজে চলে গেলেন দিল্লিতে। সেখানে এক টেবিলে মিষ্টি মুখে অমিত শাহদের সঙ্গে কথা হল।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”দিদি ও খোকাবাবু মিলে গোয়া, মেঘালয়ে আমাদের হারাতে গিয়েছিল। এক দিকে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে, অন্য দিকে বিজেপির সঙ্গে রয়েছে ওরা। দু’নৌকোয় পা দিয়ে চলছেন দিদি। তিনি, খোকাবাবু দু’জনেই বলছেন, এখানে কংগ্রেসকে শেষ করব। ওঁরা বিজেপির সঙ্গে পরোক্ষ ভাবে হাত মেলাচ্ছেন।” তাঁর দাবি, ”কংগ্রেস কখনওই শেষ হবে না। কংগ্রেসের হাত ধরেই দিদির উত্থান।”

 

তৃণমূলের রাজ্য নেতা তাপস রায় পাল্টা বলেছেন, ”অধীর ভুলে যাচ্ছেন, বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে গোটা দেশে মমতা নিদর্শন। এ রাজ্যে বারবার ওঁরা সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপির জয়ের রাস্তা তৈরি করতে চেয়েছেন। কিন্তু পারেননি।” সেই সঙ্গে তাঁর খোঁচা, ”২০১৪ সালে যে দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেসকে সরিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে, তা এখনও বিরোধীদের সামনে বাধা হয়ে রয়েছে। কংগ্রেসের এই হাল হয়েছে নিজেদের জন্যই। আমাদের জন্য নয়!”

 

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (গ্রামীণ) কংগ্রেসের উদ্যোগে এ দিন রাজারহাট এলাকায় দলীয় একটি কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছেন অধীর। কলকাতায় তাঁর হাত ধরে মধ্য কলকাতার কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগদানও করেছেন।

en.wikipedia.org