পঞ্চায়েত ভোটের আগে যে অশান্তির পরিবেষ তৈরি হয়েছিল, তাতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। গত মাসেও বদলি করা হয়েছিল রাজ্য পুলিশের বেশ কিছু অফিসারকে। এর আগে মার্চ মাসে ঘটেছিল বড়ো সড়ো রদ বদল। ফের আজ বদলি করা হল রাজ্যের একাধিক আইপিএস অফিসারকে। রাজ্য পুলিশের বড়সড় রদবদল। গত অগস্ট মাসেই চার শীর্ষ পদাধিকারী পুলিশ আধিকারিককে বদলি করা হয়। এবার রাজ্যে একাধিক আইপিএস বদলি । ৩১ জন আইপিএস বদলি করা হল।
নবান্ন সূত্রে খবর, অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী, যিনি এতদিন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার ছিলেন , তাঁকে আইজি জলপাইগুড়ি রেঞ্জ করা হল। মুকেশ, যিনি ছিলেন ডিআইজি বাঁকুড়া, তাঁকে ডিআইজি মুর্শিদাবাদ করা হল। সি সুধাকর, যিনি ছিলেন জলপাইগুড়ির ডিআইজি, তাঁকে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার করা হল। রশিদ মুনির খান, যিনি ছিলেন ডিআইজি মুর্শিদাবাদ ছিলেন, তাঁকে ডিআইজি হেড কোয়ার্টার করা হল।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর মণ্ডম তৈরির জন্য গাছ কাটলে এবার কড়া পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার
এর পাশাপাশি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বারুইপুরের এসপিকেও। বারুইপুরের এসপি পুষ্পাকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটেলিয়ন টু-তে পাঠানো হয়েছে ডিসি করে। পুষ্পার জায়গায় আনা হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পলাশ চন্দ্র ঢালিকে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে যেভাবে ভাঙড়ের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল, তাতে বারবার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে অশান্তির যে অধ্যায় শুরু হয়েছিল, তা চলছিল ভোট পরবর্তী পর্যায়েও। গণনার রাতেও তিন জনের মৃত্যু হয়। ভোট পর্ব চলাকালিন ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়। এরপর থেকে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের আওতায় আনা হয়।
প্রসঙ্গত, গত মাস অর্থাৎ আগস্ট মাসের শুরুতেই স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে কলকাতার মোট চার জন আইপিএস অফিসারের রদবদল করা হয়। এই সমস্ত বদলিকেই রুটিন বদলি হিসাবে জানানো হয়েছে।
এর আগে চলতি বছর মার্চ মাসে রাজ্য পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে বদল করা হয়। মোট ৫১ জন পুলিশ আধিকারিককে সে সময় বদল করা হয়। সেই সময় বদলি করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মুরলীধরকে। তাঁর বদলে পর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হন শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী।