দাম বাড়ছে,কিন্তু বাজারে ইলিশ কম!আগামী বছরগুলিতে আদৌ মিলবে তো ইলিশ?বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ইলিশের প্রত্যাশাও।কিন্তু, দিনে দিনে কমছে ইলিশ,বাড়ছে দাম।আর এতেই কার্যত আশঙ্কার মেঘ দেখছেন বাংলাদশের বিশেষজ্ঞরা। কেন কমছে ইলিশের উৎপাদন?মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ‘প্রথম আলো’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এর তিনটি অন্যতম কারণ তুলে ধরেছেন।তাঁদের কথায়,সাগর থেকে নদী বাা মোহনায় ইলিশ আসার ক্ষেত্রে অনেকটাই বাধা তৈরি হচ্ছে। সারা বছর বাংলাদেশে যে পরিমাণ ইলিশ উৎপাদন হয় তার ৫৬ শতাংশ আসে বঙ্গোপসাগর থেকে।এছাড়া ৩০ শতাংশ মেঘনা অববাহিকা এবং অতিরিক্ত চার শতাংশ আসে পদ্মা নদী থেকে।
চলতি বছর বাজার ইলিশ উঠতে শুরু করেছেওপার বাংলা এবং এপার বাংলা দুই ক্ষেত্রেই কার্যত আকাশ ছুঁয়েছে ইলিশের দাম। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের।সেক্ষেত্রে যদি দূষণের ঘেরাটোপ থেকে বার হওয়া সম্ভব না হয় আদৌ কি ইলিশ ঐতিহ্য বজায় থাকবে! উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ইলিশ আহরণ হয় পাঁচ লাখ ৩২ হাজার টন ইলিশ।২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টন।এদিকে ইলিশ কতটা ডিম পাড়ল সেই নিয়ে বছর বছর একটি সমীক্ষা চালায় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।এতে দেখা গিয়েছে,২০১৮ সালের থেকে ২০২২ সালে ইলিশ মাছের ডিম পাড়ার হার বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। কিন্তু,সেই জায়গায় ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ৬ শতাংশ।সেক্ষেত্রে ডিম পাড়া এবং ইলিশ উৎপাদনের মধ্যে কেন এই বিপুল ব্যবধান?তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
মেঘনা থেকে শুরু করে পদ্মা,বেড়েছে দূষণ।পাশাপাশি মাছের জন্য জৈব খাবারের পরিমাণ কমে যাওয়ায় নদীতে আসছে না ইলিশ।এছাড়াও এর অন্যতম কারণ আবহাওয়ার বদল।বাংলাদেশে আবহাওয়ার বিস্তর বদল হয়েছে।বর্ষায় নতুন জল এবং জোয়ার ভাটার দরুন নদীতে বেশি পরিমাণ সাগরের ইলিশ ঢোকে।কিন্তু, চলতি বছর ওপার বাংলাতেও দেখা গিয়েছে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি।জুলাই মাসে ৫০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি কমেছে।আর সেই কারণে কম ইলিশ ধরা পড়েছে বলে মনে করছেন গবেষকদের একাংশ।
আরও পড়ুন – বাঙালি সাক্ষীদের এজলাসে হিন্দিতে কথা বলতে বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ,
পাশাপাশি সাগর থেকে নদীতে আসার সময় মৎস্যজীবীরা জাল নিয়ে প্রতীক্ষা করেন।ফলে নদীতে আসার আগেই ধরা পড়ে বহু ইলিশ।একইসঙ্গে পলি পড়া,দূষণের কারণেও কমছে ইলিশের সংখ্যা।