আরব সাগরের বিষাক্ত সাপের দেখা মিলল দিঘার সমুদ্র সৈকতে , পর্যটকদের মধ্যে খানিক ভয়, চিন্তার ভাঁজ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কপালেও। দিঘায় দেখা মিলেছে, বিষাক্ত সামুদ্রিক সাপের। যা কামড়ালে অবশ্যম্ভাবী পক্ষাঘাত। প্রথমে কিডনি বিকল হয়, তারপর হার্ট। সর্প বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘অ্যান্টি স্নেক ভেনাম’ এই সাপের কামড়ে কোনও কাজ করে না। চিকিৎসকরদের একটা অংশও কিন্তু সে কথা মানছেন। ফলে দিঘার নতুন এই ত্রাসকে নিয়ে সবমহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও প্রশাসনের একটা বড় অংশের দাবি, আতঙ্কর খুব বেশি প্রয়োজন নেই। তবে প্রয়োজন সচেতনতার।
কী বলছে প্রশাসন?দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার মানস কুমার মণ্ডল বলেন, ‘বন দফতরের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদেরকে নিয়ে আমরা কয়েকদিনের মধ্যে দিঘা এলাকা জুড়ে সচেতনতার প্রচার শুরু করব। আমরা পর্যটকরা যাতে সাপ জীবজন্তুদের মারধর না করেন সেদিকে যেমন সচেতন করব, তেমনই পর্যটকদের সচেতন করা হবে যাতে তাঁরাও অহেতুক ভয় না পান। এই ধরনের বিষধর সাপ নিয়ে কিছুটা চিন্তা আমাদের তো থাকছেই।’
কী বলছেন হোটেল মালিকরা? তারা বলছেন ‘সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরাও বিষয়টি জানতে পারি। তবে সাপটির দেখা মেলেনি। বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সাপটির বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন। দিঘায় আসার আগে পর্যটকরা আমাদের কাছ থেকে নানা প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছেন, তাঁদের আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারছি না। অনেকে ভয়ও পাচ্ছেন। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক আমরা এটাই চাইব।’
দিঘার এই নতুন ত্রাসের নাম, ইয়েলো বেলিড সি-স্নেক। বৈজ্ঞানিক নাম ‘পেলামিস প্ল্যাটুরাস’। আড়াই থেকে তিন ফুটের হয় এই সাপ। লেজ নৌকোর দাঁড়ের মতো চ্যাপ্টা! আরব সাগরে দেখা মেলে এই সাপের। এর বিষে পেশি অকেজো করে দেয়। একে একে কিডনি, হার্ট বিকল হতে থাকে। দেখতে যতটা সুন্দর আদতে ততটাই ভয়ঙ্কর। তবে সর্প বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, আদতে এই সাপ খুবই শান্ত প্রকৃতির, যার কামড়ের রেকর্ডও বেশ কম।