ক্যালিফোর্নিয়ার প্রবাসী বাঙালিদের দুর্গাপুজো । ক্যালিফোর্নিয়ার দুর্গাপুজোয় প্রবাসী বাঙালির মহোৎসব। প্রবাসে প্রতি বছর নির্ঘণ্ট মেনে পুজো করা সম্ভব হয় না। তার অনেক কারণ। দেশের মতো এখানে পুজোর ছুটি নেই। স্কুল খোলা। অফিস খোলা। যেখানে পুজো হবে, সেই জায়গাটাও খুজতে হয়! হ্যাপা হাজারটা। অগত্যা সপ্তাহান্তই সঙ্গী। তাহলে কি তারা এই আনন্দ থেকে বাদ পড়বেন? মোটেই না, বিদেশের বহু জায়গায় রীতিমত ধুমধাম করে সমস্ত নিয়ম মেনে দেবী আরাধনার আয়োজন করা হয়। এমনকি বিদেশীরাও সেই পুজোয় আনন্দ সহকারে অংশগ্রহণ করেন।
তবে এখানে দেবী দুর্গার মূর্তি একটু আলাদা। মূলত অঞ্চল ভিত্তিক কোন স্কুল কিংবা কলেজ দুদিনের জন্য ভাড়া করা হয়। সাধারণত দু-দিনেই ষষ্ঠী থেকে দশমীর পুজো সেরে ফেলা হয়। আর এই দুদিন নির্ধারণ করা হয় ছুটির দিন দেখে। প্রতিবছর প্রতিমা তৈরি করা সম্ভব হয় না। তাই এই সযত্নে মোড়কের মধ্যে থাকে প্রতিমা। পুজোর সময় সেই মোড়ক থেকে প্রতিমা বের করে দেওয়া হয় পুজোর স্থানে। পুজোর আয়োজনে বিন্দুমাত্র খামতি থাকে না। নিয়ম মেনে বোধন থেকে শুরু করে নবপত্রিকা স্নান, অষ্টমীর অঞ্জলি, সন্ধি পুজো, সিঁদুর খেলা সবকিছুই হইহুল্লোরের সঙ্গে হয়।
আরও পড়ুন – ট্যাবলেটে দুর্গা মুর্তি বানিয়ে জাতীয়স্তরে পুরস্কৃত হল বীরভূমের প্রসেনজিৎ
এই পুজো হয় ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের ছোট্ট শহর উডল্যান্ডহিলসে। সার্দান ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনটি বড় বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনলনের পাশাপাশি রয়েছে ভারত সেবাশ্রম। এখানে অত্যন্ত ঘটা করে দুর্গাপুজো হয়। এখানে পুজো শেষে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় না। সিঁদুর খেলা সমাপ্ত হলে দর্পণে দেবীর মুখ দেখে দর্পণেই দেবী বিসর্জন হয়। একেবারে ব্যতিক্রমী নিয়ম। বিসর্জনের শেষে একে একে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশের মূর্তি তুলে রাখা হয় মোড়কের মধ্যে।