নাগরিকদের দেশ ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিলো ইউক্রেন। দেশ ছাড়তে পারবেন না ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি নাগরিকেরা, নির্দেশিকা ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন এক নির্দেশনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানালেন, দেশ ছাড়তে পারবেন না ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি নাগরিকেরা। খবর সিএনএনের। ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ঘোষণায় বলেন, ‘ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষেরা দেশের সীমানা ত্যাগ করতে পারবেন না।
এ নিয়ম সামরিক আইন বজায় থাকা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আমরা নাগরিকদের এখন থেকেই এ নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছি।’ তবে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হবে কি না, তা জানাযনি ভলোদিমির সরকার। এদিকে, রাশিয়া প্রথম দিনের ‘সামরিক অভিযান’ শেষে জানিয়েছিল, ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম দিনে তারা সফল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, প্রথম দিনেই তারা সব লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে। ইউক্রেনের স্থলভাগে তারা ৮৩টি সামরিক লক্ষ্যকে ধ্বংস করেছে। আর, ইউক্রেন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মোট ২০৩টি সামরিক আঘাত হেনেছে রাশিয়া।
আর ও পড়ুন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিমানঘাঁটির দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী
ইউক্রেন সেনার দাবি, খারকিভ অঞ্চলের কাছে রাশিয়ার চারটি যুদ্ধ ট্যাংক ধ্বংস করেছে তারা। আর, লুহানস্ক অঞ্চলে নিহত হয়েছেন ৫০ জন রুশ সেনা। এবং ছয়টি রুশ যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামিয়েছে ইউক্রেন সেনারা। যদিও এ তথ্য অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার ‘সেনা অভিযানের’ প্রথম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার মোট ১৩৭ জন ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছে বলে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কি আরও জানান, রাশিয়ার এমন বড় ধরনের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৩১৬ জন আহত হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ‘শত্রুবিমান’ ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেছেন, ‘শত্রুবিমান’টি একটি আবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয় এবং এতে আগুন ধরে যায়। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা আন্তন হেরাশচেঙ্কো বার্তা আদান-প্রদানমাধ্যম টেলিগ্রামে জানান, একটি নয় তলা-বিশিষ্ট আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে। উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কিয়েভে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
উল্লেখ্য, দেশ ছাড়তে পারবেন না ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি নাগরিকেরা, নির্দেশিকা ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন এক নির্দেশনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানালেন, দেশ ছাড়তে পারবেন না ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি নাগরিকেরা। খবর সিএনএনের। ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ঘোষণায় বলেন, ‘ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষেরা দেশের সীমানা ত্যাগ করতে পারবেন না।এ নিয়ম সামরিক আইন বজায় থাকা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আমরা নাগরিকদের এখন থেকেই এ নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছি।’
তবে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হবে কি না, তা জানাযনি ভলোদিমির সরকার। এদিকে, রাশিয়া প্রথম দিনের ‘সামরিক অভিযান’ শেষে জানিয়েছিল, ইউক্রেন আক্রমণের প্রথম দিনে তারা সফল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, প্রথম দিনেই তারা সব লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে। ইউক্রেনের স্থলভাগে তারা ৮৩টি সামরিক লক্ষ্যকে ধ্বংস করেছে। আর, ইউক্রেন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মোট ২০৩টি সামরিক আঘাত হেনেছে রাশিয়া।