হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তায় ও সরকারি ছুটি ঘোষণায় উদ্বেলিত মতুয়া সমাজ। ভেদাভেদ ভুলে রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠা ঠাকুর বাড়ির দুই পরিবারের তরফেও মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের পাশে থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
এদিন সাধারণ ভক্তদের মতো একাধিক বিধায়ক ঠাকুরবাড়িতে আসেন। মতুয়া ভক্তদের জনস্রোতে কার্যত ভেসে যায় ঠাকুরনগর। সর্বত্র কালো মাথার ভিড়। ডঙ্কা, কাঁসি ও নিশান হাতে ভক্তদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে প্রত্যেক বছর ঠাকুরনগরে বারুণী মেলার আয়োজন করা হয়। কিন্তু গত দুবছরে করোনা পরিস্থিতির জন্য মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তার উপর ঠাকুরবাড়ির দুই পরিবারের রাজনীতির লড়াই ভক্তদের মধ্যেও বিভাজনের রেখা টেনেছিল। কিন্তু বৃহত্তর মতুয়া সমাজ চেয়েছিল, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ঠাকুরবাড়ির দুই পরিবার একসঙ্গে মেলার আয়োজন করুক। সেই দাবি মেনে দুই পরিবার এবার একসঙ্গে মেলার আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাধারণ মতুয়া ভক্তদের ভিড় ঠাকুরনগরে কার্যত ভেঙে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভার্চুয়াল বক্তব্যও রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও শুভেচ্ছা বার্তা ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁর উদ্যোগে এদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, বিশ্বজিত্ দাস সহ অনেক রাজনৈতিক নেতা এদিন ঠাকুর বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। এই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, আজকে বারুণী মেলা দ্বিতীয় দিনে পা দিয়েছে। এদিন দুপুর পর্যন্ত ভক্ত সমাগম ২৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত মেলা চলবে। মতুয়াদের পাশে থাকার জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে কুর্নিশ করছি। মমতাবালা ঠাকুর বলেন, আজকের পবিত্র দিনে মুখ্যমন্ত্রী মতুয়া ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এই পবিত্র দিনে রাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মতুয়াদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ভালোবাসা ও সহমর্মিতায় আমরা আপ্লুত। মতুয়া সমাজের পক্ষ থেকে আমরাও তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশের সমগ্র মতুয়া সমাজ গর্ব অনুভব কর