কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা শুরু করতে চলেছে মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত

কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা শুরু করতে চলেছে মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত। দুর্গাপুর নগর নিগমের কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ শুরু করা হলেও বর্তমানে তা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আসানসোল নগর নিগমের তরফ থেকে তৎকালীন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি আসানসোল কালিপাহাড়ি-তে কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনার কাজ শুরু করিয়েছিলেন। বর্তমানে সেটিও বন্ধ রয়েছে। দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের সুচিন্তিত নির্দেশনায় কালিপুজোর পরই শুরু হতে চলেছে মলানদিঘি কুনুর নদী লাগোয়া প্রায় ১ বিঘে জমির ওপর কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের।

 

এর ফলে উপকৃত হবে মলানদিঘি পঞ্চায়েত এলাকা সহ দুর্গাপুর শহর এলাকার আংশিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যাবস্থা। এই প্রকল্পে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। এ কথা জানালেন মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযূষ মুখোপাধ্যায়। প্রধান জানান, ‘পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই মুহূর্তের প্রথম কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যাবস্থা চালু হতে চলেছে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের নির্দেশনায়। যা পরিচালনা করা হবে মসৃণ ভাবে।

 

এমনই আশা করছি এবং এই ইউনিট-টি মসৃণভাবে পরিচালনা কি ভাবে হবে, তার সম্পূর্ণ বিষয়টি বিস্তার ভাবে মন্ত্রী আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন’। দুর্গাপুর মহকুমাজুড়ে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যাবস্থার প্রয়োজন ভীষণ ভাবে অনুভব করা যায়। দিন দিন দুর্গাপুর মহকুমাজুড়ে বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান সহ ছোট-ছোট শিল্প কারখানার সংখ্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে। অথচ, দুর্গাপুর শঙ্করপুরে দুর্গাপুর নগর নিগমের কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যাবস্থা থাকলেও তা ২০১৫ সালের অগ্নিকান্ডের পর এক প্রকার বন্ধ্যই রয়েছে। পরে ২০১৭ সালে মেয়র হওয়ার পর দিলীপ কুমার অগস্তি ফের তা চালু করার চেষ্টা করলেও তার ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় নি।

 

প্রাক্তন মেয়র দিলীপ কুমার অগস্তি জানান, “পরবর্তীতে পলাসডিহা এবং মিশ্র ইস্পাত কারখানার(এএসপি) মাঝে একটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছিল যার পাশেই রয়েছে তামলা নালা, ওই পর্যন্ত। তারপর কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা তৈরির কাজ আর এগোয় নি”। তবে, দুর্গাপুর শহর লাগোয়া মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে তৈরি হওয়া কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ অনেকটাই স্বস্থি দেবে শহরবাসীকে, এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল। দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, “মুলত পঞ্চায়েত এলাকার বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্যই গ্রাম পুঞ্চায়েতের তরফ থেকে কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ব্যাবস্থা করা হয়েছে মলানদিঘি কুনুর নদী লাগোয়া।

আরও পড়ুন – দখলে থাকা ইউক্রেনের লিমান শহর থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলো রুশ সেনারা

তিনি বলেন, বসতি কম এবং পাশে জলাধার থাকলে কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণে অনেকটা বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। সেইমত প্রায় ১ বিঘে জমি চিহ্নিত করে কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনার কাজ শুরু করা হয়েছে। যা প্রায় শেষের দিকে। তবে মন্ত্রী বলেন, এই কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ইউনিট-টির ক্ষমতা অনুযায়ী প্রথমে পঞ্চায়েত এলাকা, তারপর তার অতিরিক্ত ক্ষমতা অনুযায়ী শহরের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ব্যাবস্থা করা হবে”।

 

মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার আরও বলেন, “রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরের তরফ থেকে শহরগুলিতে কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ইউনিট চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামীদিনে তা প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে তারপর ধীরে ধীরে সব শহরেই তা চালু করা হবে”। দুর্গাপুর শহর লাগোয়া মলানদিঘি কুনুর নদীর ধারে কঠিন বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা বা বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ইউনিট চালুর ফলে লাভ পাবে দুর্গাপুর, এমনই ধারণা শিল্পাঞ্চলবাসীর।