ছট পুজোর সকালে জর্দা নদীর ঘাটে দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের ভিড়

সূর্য উদয় হওয়ার আগেই ছট ভক্তেরা সোমবার ভোরে নিয়ম নিষ্ঠার সাথে ছট পুজো জন্য নদী ও পুকুর ঘাটের পথে। দন্ডি কাটতে কাটতে দীর্ঘ রাস্তা পেরিয়ে ঘাটের উদ্দেশ্যে পুজোর ডালা মাথায় নিয়ে ময়নাগুড়ির ছটব্রতরা। এদিন ভোরে ময়নাগুড়ি জর্দা নদীর ঘাট, পেটকাটির ঘাট, ও বিভিন্ন নদী ও পুকুর ঘাটে ছট পূজার আনন্দে মেতে উঠেছে ছোট থেকে বড় সকলেই।
জলে নেমে সূর্য দর্শনে ময়নাগুড়ির জর্দা নদীর ঘাটে ছট ভক্তরা। ছট পূজা উপলক্ষে পুলিশ নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতন, সেইসঙ্গে নদীর জলে কেউ না পড়ে যায় তার জন্য সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরাও ছিল সজাগ।
এদিন ভোর তিনটে থেকেই ময়নাগুড়ি জর্দা নদীর ঘাট সহ বিভিন্ন ঘাটে ছট ভক্তরা আসতে শুরু করেন, নিয়ম নিষ্ঠার সহিত ছট পূজা করে এদিন। সূর্য দেবতার পূজো দেখতে প্রচুর পুণ্যার্থীরা ভিড় যেমন ঘাটে। ছট পূজা মানে এখন মহামিলনের পূজা এই পূজা এখন সব সম্প্রদায়ের মানুষই করে থাকেন। পুজো দিতে আসা এক পুণ্যার্থী জানান প্রতিবছরই এই জর্দা নদীর ঘাটে এসে ছট পুজো দেন। অন্যদিকে এক দর্শনার্থী বলেন প্রতিবছরই জর্দা নদীর ঘাটে ছট পুজো দেখতে আসেন, সেই সঙ্গে মোম ও ধূপকাঠি দিয়ে পূজো দেন, এবং সূর্য দেবতার কাছে প্রার্থনা করেন প্রতিবছরই যেন তিনি এই পূজায় আসতে পারেন। সেই সঙ্গে সকলে যাতে ভালো থাকে সুস্থ থাকে সেই মঙ্গল কামনাই করেন তিনি।
ভোর রাত থেকে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় এই ঘাটে। ময়নাগুড়ি বিহারী জনকল্যাণ মঞ্চের পক্ষ থেকে ছট পূজা উপলক্ষে দর্শনার্থী এবং পুনার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চা এবং কফি বিতরণ করে।
সূর্য ওঠার আগেই ছট ভক্তরা নদীর জল নেমে প্রার্থনা করেন সূর্যদেবের। সূর্য উদয় তে হতেই শেষ হয় ছট পুজো। এরপর একে একে পুজোর ডালা নিয়ে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় ভক্তরা।


ছট পুজোর সকালে জর্দা নদীর ঘাটে দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের ভিড়