পিংলায় ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল! পুরো গ্রাম ঘুরে দেখে অভিভূত তারা। গতকালই বিশ্ব সংস্থা UNESCO র তরফে বাঙালির দুর্গোৎসবকে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা দিয়েছে। রাজ্য জুড়ে চলছে খুশির হাওয়া, সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরেক সুখবর এলো রাজ্যের তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাবাসীর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ও অন্যতম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পিংলার পট ও সবংয়ের মাদুরের শিল্পের কাজ দেখতে পশ্চিম মেদিনীপুরে পৌঁছল UNESCO-র বিশেষ প্রতিনিধিদল।
রয়েছেন জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। শুক্রবার প্রথমে নয়াতে পৌঁছন ইউনেস্কোর ওই বিশেষ প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধিরা কথা বলেন স্থানীয় শিল্পীদের সাথে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের মনমুগ্ধ শিল্পকলার কাজ দেখেন।শিল্পীদের গলায় গানের মধ্যে দিয়েই শুনলেন চণ্ডী মঙ্গল থেকে ৯/১১-র হামলার পটগাঁথা। ঘুরে দেখলেন শিল্পীদের বাড়িও।
আরও পড়ুন – সিপি(আই)এম র মিছিলে মানুষের ঢল
উল্লেখ্য, পটচিত্র হল পট বা বস্ত্রের উপর আঁকা এক প্রকার লোকচিত্র। এটি প্রাচীন বাংলার এক অন্যতম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। যারা পটচিত্র অঙ্কন করেন তাঁদেরকে পটুয়া বলা হয়। পেশাদার পটুয়ারা তাঁরা তাঁদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সমসাময়িক বা কোনও পৌরাণিক কাহিনীকে ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলে গান পরিবেশন করেন। এদিন তাদেরই এক অপরূপ শিল্পকলা চাক্ষুষ করলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এরপরই ইউনেস্কোর সদস্যরা পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং এর ঐতিহাসিক মাদুর শিল্পকলা দেখতে হাজির হন সবংয়ে। সবংয়ের দু লাখ ৯২ হাজার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ এই মাদুর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। যার মধ্যে বেশিরভাগই মহিলারা যুক্ত। এদিন ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মাদুর বোনা থেকে মসলন্দি মাদুরের উপর কারুকার্য খচিত শিল্পকলা গুলি দেখেন, কথাও বলেন মাদুর শিল্পী ও এই কাজের সাথে যুক্ত বেশ কিছু মানুষজনের সাথে। এরপর তাঁরা ফিরে যান কলকাতার উদ্দেশ্যে। পিংলায় ইউনেস্কোর