প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমেছে কেরলের বহু জায়গায়, বিপর্যস্ত জনজীবন, মৃত ৬। প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমেছে কেরলের বহু জায়গায়, বিপর্যস্ত জনজীবন। এখনও পর্যন্ত ৬ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর। সেইসঙ্গে বহু মানুষের খোঁজ মিলছে না। কোট্টায়াম, ইডুক্কি এবং পথনামথিট্টার মতো পাহাড়ি এলাকায় বন্যার পাশাপাশি চিন্তা বাড়িয়েছে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়া।
সে রাজ্যের দক্ষিণ এবং মধ্য অংশে ধস নেমেছে। ইডুক্কির থোডুপুজা এবং কোক্কায়ার এবং কোট্টায়াম জেলার কোট্টিক্কাল থেকে মৃত্যুর খবর মিলেছে। সরকারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মীনাচল এবং মণিমালা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর’ বলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আগামী ২৪ ঘণ্টায় মানুষকে সতর্ক থাকার আবেদন করেছেন। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। জানিয়েছেন, কেরলের দক্ষিণ এবং মধ্যের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়েছে। পরে তা উত্তরেও হতে পারে। বেশ কিছু নদীর জলস্তর আরও বেড়ে যেতে পারে। কিছু বাঁধ থেকে জল ছাড়া হতে পারে। তিনি আর্জি জানিয়েছেন, বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা যেন প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলেন।
তিনি জানান, নিম্নচাপের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আরব সাগরে তৈরি হয়েছে ওই নিম্নচাপ। ইতিমধ্যে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
শুক্রবার থেকে অতিভারী বর্ষণে সিক্ত দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য। ইতিমধ্যে জলস্তর বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেছে বেশ কিছু জায়গায়। জানা যাচ্ছে, প্রবল বর্ষণের মাঝে ধস নেমেে কোটিকালে। জলের তোড়ে বেশ কিছু জায়গায় গাড়ি ভেসে যাওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। এর মাঝেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা। আর তার জেরেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে এই শঙ্কা থেকে প্যাঙ্গোডে সেনা শিবির থেকে ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজের জন্য রওনা দিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি দল।
আর ও পড়ুন বেআইনিভাবে বসবাসের অভিযোগে গ্রেফতার ৬ বাংলাদেশী
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারায় বিজয়ন জানিয়েছেন, অতি ভারী বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি এলাকাগুলির কিছু জায়গায় ধস নেমেছে। গোটা পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজের দিকটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এলাকার সমস্ত বাসিন্দারা যাতে নিরাপদে থাকেন সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সব মহলকে বাড়তি তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। বাসিন্দাদের স্থানীয় রিলিভ সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কেরল প্রশাসন। কোভিডকালের মধ্যে বৃষ্টির জেরে তৈরি হওয়ার শঙ্কার মধ্যে অবশ্য পালনীয় করোনার যাবতীয় নিয়ম মেনেই দুর্গতদের বিভিন্ন রিলিফ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পিনারাই বিজয়ন।