১৪ নভেম্বর, কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী ছ’জনের একজন আক্রান্ত ডায়াবেটিসে।ডাক্তারের ক্লিনিকে আসা রোগীদের রক্তপরীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। রাজ্যের চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এরূপ বাড়তে থাকলে ভবিষ্যত আরও খারাপ হতে পারে। রাজ্যে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা জানতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সহযোগিতায় এসএসকেএমের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সমীক্ষাও শুরু করা হয়েছে।
নিঃশব্দেই এই ডায়াবেটিস তার থাবা ক্রমশ প্রসারিত করছে। কমবয়সি ছেলে-মেয়েরাও এই রোগের স্বীকার হচ্ছে, যা খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। আন্তর্জাতিক ডায়াবিটিস ফেডারেশনের ২০১৭-র গননা অনুযায়ী গোটা বিশ্বে ৪২ কোটি ২৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত ডায়াবিটিসে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যে ৭ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত, তার ২ কোটিরও বেশি থাকেন ভারতে। সম্প্রতি প্রকাশিত ন্যাশনাল হেলথ প্রোফাইলের তথ্যে বলা হয়েছে, বর্তমানে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা অনেক গুণ বেড়েছে।
২০১৮ সালে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের মাধ্যমে চলা অ-সংক্রামক ব্যাধির ক্লিনিকে ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ জন রোগী এসেছেন, যাদের মধ্যে ২ লক্ষ ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষের ডায়াবিটিস ধরা পড়েছে, যা প্রায় ধরা যায় প্রতি ৬ জনে একজন। আর উচ্চ রক্তচাপের শিকার ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৩৪ জন, যা প্রতি ৫ জনে একজন। উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস দুটোতেই আক্রান্ত মানুষের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে বাংলা।
তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে ও শরীর সুস্থ রাখতে সঠিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা অপরিহার্য।
১। প্রতিবেলার খাবারে স্টার্চযুক্ত কার্বোহাইড্রেড থাকা জরুরি।উদাহরণ- ব্রেড, পাস্তা, চাপাটি, শাক-সবজি জাতীয় খাবার।
২। চর্বি যুক্ত খাবারের পরিমান কমিয়ে আনুন।উদাহর– মাংস, তেল, ঘি, মাখন, দই, দুধ জাতীয় খাবার, যেটায় ফ্যাট বেশি থাকে।
৩। খাবারে বিন ও ডাল অন্তর্ভুক্ত করবেন, যেটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কে বাড়াবে না ও চর্বি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।
৪। সপ্তাহে দুই দিন তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার চেষ্টা করবেন, যার মধ্যে ওমেগা-3 নামে পলিস্যাচুরেইটেড থাকে, যা আপনার হার্ট ভাল রাখবে।
৫। খাবারের পরিমান কমিয়ে এনে দৈনিক ৬গ্রাম করুন।
৬। চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাবেন।
এর সঙ্গে ডাক্তারের ওষুধ নিয়মিত খাবেন ও দরকারে তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।