বাঘের হামলায় সুন্দরবনের জঙ্গলে ফের মৎস্যজীবীর মৃত্যু। এক মাসের মধ্যে পঞ্চম বার- সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের হামলায় মৃত্যু হল আরও এক মৎস্যজীবীর। নিহত মৎস্যজীবীর নাম শ্রীনিবাস মণ্ডল। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির কিশোরী মোহনপুর এলাকায়। দেড় বছরের হিসেব করলে রয়্যাল বেঙ্গলের হানায় এই নিয়ে ৯৪ জন মৎস্যজীবী প্রাণ হারালেন।
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে কুলতলির কিশোরী মোহনপুরের বাসিন্দা ওই মৎস্যজীবী বেলিফিলির জঙ্গলে যান কাঁকড়া ধরতে। সোমবার দুপুরে কাঁকড়া ধরার পর নৌকায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন শ্রীনিবাস। অসাবধানতাবশত কোন ক্রমে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন আর সেটাই হয় তার কাল।বেলিফিলির জঙ্গলে পিছন দিক থেকে ঘুমন্ত শ্রীনিবাসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাঘ।
সঙ্গীসাথীরা বাঘের কবল থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে তাঁকে। তবে লাভ হয়নি। মঙ্গলবার দেহ নিয়ে এলাকায় ফেরেন মৎস্যজীবীরা। গত দেড় বছরে বিশেষ করে লকডাউন এর সময় থেকে যেভাবে সুন্দরবনের জঙ্গল কার্যত মৎস্যজীবীদের বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অরণ্য বিশেষজ্ঞরা।
আর ও পড়ুন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে গঙ্গায় কুমিরের দেখা মিললো
তাঁরা মনে করছেন লাগাতার মৎস্যজীবীদের উপর বাঘের হামলার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য যে কারণ সেটি হল জঙ্গলে বাঘের খাবারের অভাব। শিকার না পেয়ে মৎস্যজীবীদের ওপর হামলা চালাতে পারে বাঘ। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, মৎস্যজীবীদের নিয়ম না মেনে জঙ্গলে বারবার ঢোকাও এর কারণ হতে পারে।
লকডাউন এর সময় অনেক অপ্রশিক্ষিত মৎস্যজীবী জঙ্গলে যাওয়া শুরু করেছেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারাই বাঘের হামলার শিকার হচ্ছে। বনদফতর সূত্রে জানানো হয়েছে,বাঘের হামলায় মৎস্যজীবীর প্রাণ হারানোর বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন। মৎস্যজীবীর কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
উল্লেখ্য, বাঘের হামলায় সুন্দরবনের জঙ্গলে ফের মৎস্যজীবীর মৃত্যু। এক মাসের মধ্যে পঞ্চম বার- সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের হামলায় মৃত্যু হল আরও এক মৎস্যজীবীর। নিহত মৎস্যজীবীর নাম শ্রীনিবাস মণ্ডল। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির কিশোরী মোহনপুর এলাকায়। দেড় বছরের হিসেব করলে রয়্যাল বেঙ্গলের হানায় এই নিয়ে ৯৪ জন মৎস্যজীবী প্রাণ হারালেন।