উত্তর প্রদেশে শৈত্যপ্রবাহের বলি ২৫ জন। গোটা উত্তর ভারত জুড়ে চলছে শৈত্য প্রবাহ। হাড়হিম করা ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত। কানপুরে প্রবল ঠান্ডায় ২৫ জন মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে ১৭ জন মারা গিয়েছেন চিকিৎসা পাওয়ার আগেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছে প্রচণ্ড ঠান্ডায় হার্ট অ্যাটাক করে এবং ব্রন স্রোকে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।
লখনউয়ের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন প্রচণ্ড ঠান্ডাতে কাবু হয়ে যান বৃদ্ধরা। তাঁদেরই মূলত হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা তৈরি হয়। তবে এই সম্ভাবনা কিশোরদের মধ্যেও দেখা যায়। গত কয়েকদিনে প্রবল শৈত্য প্রবহে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে। শুধুমাত্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি।রাজধানী দিল্লিতে তাপমাত্রার পারদ হু হু করে নামতে শুরু করে দিয়েছে। গতকালের পর আজ আবার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে। ১ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে দিল্লির তাপমাত্রা।
ঠান্ডায় কাবু সাধারণ মানুষ। গরিব মানুষের রাত্রি যাপনের জন্য বিভিন্ন শেল্টার হোম খুলে দওয়া হয়েছে। যাতে রাস্তায় যাঁরা থাকেন তাঁরা সেখানে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারেন সেটা সুনিশ্চিত করতে তৎপর দিল্লি সরকার। এছাড়াও একাধিক অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে দিল্লিতে। সেখানেও আশ্রয়হীনদের থাকতে বলা হয়েছে।উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় তুষারপাতের প্রাবল্য বেড়েছে।
আরও পড়ুন – জেলার সমস্ত স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করার নির্দেশ
উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশে তুষারপাতের তীব্রতা বেড়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম থেকেই তুষারপাত শুরু হয়েছিল উত্তরাখণ্ডে। নভেম্বর মাস থেকে ঠান্ডার দাপট আরও বাড়তে শুরু করে। তার জেরেই এই তুষারপাতের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিেয়ছে হওয়া অফিস। আরপ সেই হিমেল হাওয়া উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের রাজ্যে ঢুকতে শুরু করেছে।আরও নামবে রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা।
শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। শৈত্য প্রবাহ গত কয়েকদিন ধরেই চলছে রাজধানী দিল্লিতে। গতকাল থেকে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তার জেরেই তাপমাত্রার পারদ হু হু করে নামতে শুরু করে দিয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা না থাকার কারণেই শৈত্য প্রবােহর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন আরও নামবে তাপমাত্রার পারদ। শৈত্যপ্রবাহের বলি