৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হলে গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার হুঁশিয়ারি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ, বিকেল ৩টে ২০ মিনিটের মধ্যে আদালতের পূর্ব নির্দেশ মানতে হবে। অন্যথায় পদক্ষেপ করা হবে। ২০১৪ সালের টেটে অংশ নেন প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী পল্লব বারিক। পরীক্ষায় তিনি পাস করেননি বলে জানায় পর্ষদ।
আবার গত বছর পর্ষদ জানায় টেটে পাস করেছেন ওই পল্লব বারিক। টেট উত্তীর্ণ জানতে পেরে চাকরির দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করেন পল্লব বারিক। আদালত ওই চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, দু’মাসের বেশি সময়েও আদালতের নির্দেশ কার্যকর করেনি পর্ষদ। তাই শুক্রবারই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে বলে নির্দেশ। বিকেল ৩টে ২০ মিনিটের মধ্যে আদালতের পূর্ব নির্দেশ মানতে হবে বলে নির্দেশ বিচারপতির।
অন্যদিকে OMR কেলেঙ্কারি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আপাতত স্বস্তি পেয়েছেন গৌতম পাল ও পার্থ কর্মকার। মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারিকে রক্ষাকবচ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ওপরও স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায়, ১৮ অক্টোবর, হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল ও ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে CBI তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পেশ করা রিপোর্ট দেখে বিচারপতি নির্দেশ দেন,প্রয়োজন মনে করলে পর্ষদের কোনও আধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে CBI। এমনকী, তদন্তে সহযোগিতা না করলে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করলে তাঁদের হেফাজতেও নিতে পারে।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারি। গত সোমবার মামলার শুনানিতে গৌতম পাল ও পার্থ কর্মকারের আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আদালতে সওয়াল করেন, ২০১৪ থেকে ২০১৭-র মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মক্কেলদের নিয়োগ হয়েছে ২০২২ সালে।