সম্প্রতি আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছে তালেবানরা। তালেবানের ক্ষমতা দখলের কারণে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।আফগানিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ফেসবুকে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আমি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছি। দেশ ছেড়েছি বলে রক্তপাত ও সংঘাত বন্ধ হয়েছে।’ এমনটাই সূত্রের খবর। কাবুল ছাড়ার পর এই প্রথম কথা বললেন আশরাফ ঘানি। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাসনে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা নেই।
আফগানিস্তানে (Afghanistan) ফিরতে চাই, এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।’ প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস ত্যাগ করার সময় বিপুল অর্থ সঙ্গে নিয়েছেন বলে যেসব প্রতিবেদন বেরিয়েছে, ভিডিও বার্তায় তা অস্বীকার করেছেন আশরাফ ঘানি। ‘আমি কাবুলে থেকে গেলে ব্যাপক রক্তপাত দেখতে হতো’
উল্লেখ করে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আফগান (Afghanistan) প্রেসিডেন্ট জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শে দেশ ছেড়েছেন তিনি। গত রোববার তালেবান হঠাৎ কাবুলে প্রবেশ করলে আশরাফ ঘানি কোনো কিছু না জানিয়ে দেশ ছাড়েন এবং এতে তাঁর সরকারের মন্ত্রীরা ব্যাপক সমালোচনা করেন।
এদিকে, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর সব সরকারি কর্মকর্তাকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। অন্যদিকে, সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর সঙ্গে তালেবানের আলোচনায় বসার বিষয়টি সমর্থন করেন বলে জানিয়েছেন আশরাফ ঘানি।
আর ও পড়ুন পরীমণির (Porimoni) জামিন আবেদন নাকচ করে আরও এক দিনের রিমান্ড
এর আগে গতকাল বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এক বিবৃতির মাধ্যমে জানায়, মানবিক দিক বিবেচনা করে আশরাফ ঘানিকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন আশরাফ ঘানি। এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন হামিদ কারজাই। দুজনই তাঁদের শাসনকালে আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বাহিনীর মিত্র হিসেবে কাজ করেছেন।
সম্ভাব্য দেশত্যাগীদের মধ্য প্রেসিডেন্টর সঙ্গে আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর নামও এসেছিল। তবে মঙ্গলবার এক টুইটে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন, তিনি আফগানিস্তানেই রয়েছেন। পাশাপাশি, সংবিধান অনুসারে এই মুহূর্তে নিজেকে দেশটির বৈধ তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট বলেও দাবি করেছেন আমরুল্লাহ সালেহ। ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশে থাকলেও পশ্চিমা সমর্থিত আফগান প্রেসিডেন্ট যে পালিয়েছেন, তা নিশ্চিত।
আর এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ আফগান নাগরিকদের একাংশ। তাদের কেউ কেউ আশরাফ ঘানিকে ‘কাপুরুষ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। রুশ দূতাবাসের মুখপাত্র নিকিতা ইশচেঙ্কো বলেন, ঘানি যেভাবে আফগানিস্তান থেকে পালিয়েছেন তা (বিদায়ী) শাসকগোষ্ঠীর পতনের সবচেয়ে স্পষ্ট বৈশিষ্ট্য। চারটি গাড়ি ছিল নগদ অর্থে ভর্তি, তারা এগুলোর আরেকটি অংশ হেলিকপ্টারে তুলতে চেয়েছিল, কিন্তু পুরোটা ধরেনি। কিছু অর্থ রাস্তায় পড়ে ছিল।