কেরালার পর এবার উত্তরাখন্ড। উত্তরাখণ্ডে অতিভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। নৈনিতাল জেলার রামগড় গ্রামে মঙ্গলবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে মানুষ আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ড রাজ্যের কুমায়ুন এবং গাড়োয়াল, দুই অঞ্চলই প্রবল বৃষ্টির কবলে পড়েছে। জায়গায় জায়গায় ধস নেমে বিপর্যস্ত যান চলাচল। রামগড়ে মেঘভাঙা বৃষ্টি।
জানা গিয়েছে, রামগড় গ্রামের দিকে দ্রুত রওনা দিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। ঘটনাস্থল থেকে কিছু আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়েছে তবে এখনও তাদের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। রবিবার থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে নৈনিতালে। সোমবারও সারা দিন সেই বৃষ্টি চলেছে। তার জেরে ক্রমশ জলস্তর বাড়তে থাকে নৈনিতালের লেকে। সোমবার সন্ধ্যার পরেই দু’কুল ভাসিয়ে লেকের জল ঢুকে পড়ে শহরের মূল রাস্তায় ও বাড়িতে।
গোড়ালি সমান জল নিয়ে ডিঙিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার উত্তরাখণ্ডে অতিভারী বৃষ্টির ফলে নেপাল থেকে আসা তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে রবিবার হরিদ্বার ও ঋষিকেশ থেকে আসা চারধাম তীর্থযাত্রীরা যাতে আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত হিমালয়ের মন্দিরগুলিতে না যান। ইতিমধ্যে পাউড়ি জেলার কাছে সামখেলে, যেখানে ধস নামে, সেখানে ওই তিন শ্রমিক তাঁবু খাটিয়ে থাকছিলেন, অতিবৃষ্টিতে ওপর থেকে ধস নামার দরুণ ওই তিনজন জীবন্ত চাপা পড়ে যান।
আর ও পড়ুন ভূত কি? বাস্তবে ভূত আছে কি? জানুন বিস্তারিত
অন্যদিকে, রবিবার রাত থেকেই কেদারনাথে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে ১৭ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত, বজ্র-বিদ্যুৎ ও তীব্রগতিতে চলা হাওয়া (৬০-৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়) পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মূলত, নিম্নচাপের প্রভাবে পুবালী হাওয়া এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সংঘর্ষের ফলে রবিবার থেকে চরম বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। বৃষ্টির জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। কুমায়ুনের অবস্থা বেশি খারাপ গাড়োয়ালের থেকে।