হুগলী নদীর বাঁধে ধস, পরিদর্শনে পঞ্চায়েত মন্ত্রী। সোমবার সকালে আচমকাই প্রায় ৫০ ফুট হুগলী নদীর বাঁধ ধসে গেল। আতঙ্ক ছড়াল উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভার বেলাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর গ্রামে। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। যদিও নদী বাঁধ ভাঙনের খবর পাওয়ার পরেই পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেচ দপ্তরকে দ্রুত নদী বাঁধ মেরামতের নির্দেশ দেন। এদিন মন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন।
পুলক রায় অভিযোগ করেন হুগলী নদী ড্রেজিং না করায় নদীর তীব্রতা কমেছে। ফলে নদীপথে যাতায়াত করা জাহাজ নদীর পশ্চিম পাড় ঘেঁষে যাওয়ায় জাহাজের ঢেউয়ের ফলে পাড় ক্রমশঃ ভাঙছে। মন্ত্রী অভিযোগ করেন নদী ড্রেজিং এর ব্যাপারে একাধিকবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোন কাজ না হওয়ায় নদীর বাঁধ ক্রমশঃ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদিন তিনি অবিলম্বে হুগলী নদী ড্রেজিং এর দাবি জানান। এদিন মন্ত্রী দ্রুত বাঁধ মেরামতের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে মানুষদের স্থানীয় বিদ্যালয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে রবিবার রাতে নদী বাঁধের উপরের রাস্তায় ফাটল দেখা দেয়। সোমবার সকালে সেই ফাটল অনেকটাই বৃদ্ধি পায় এবং সকাল ৮ টা ৩০ নাগাদ আচমকাই প্রায় ৫০ ফুট রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এদিকে নদীবাধে ভাঙনের খবর পাওয়ার পরেই এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। হাজারে হাজারে মানুষ নদী বাঁধে ভীড় জমাতে থাকে। অন্যদিকে নদী বাঁধে ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা, আসেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক শমীক কুমার ঘোষ।
সূত্রের খবর এদিন সকাল মন্ত্রী এলাকা পরিদর্শন করার পর সন্ধ্যায় পুনরায় ঘটনাস্থলে আসার কথা। অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য নদীর পশ্চিম পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। এই এলাকায় বাঁধে কোন ফাটল না থাকলেও রবিবার রাত থেকে আচমকাই পরিস্থিতি খারাপ হয়। তাদের আশঙ্কা যদি নদী বাঁধ ভেঙে যায় তাহলে ১০/১২ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নদী বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর।