মালবাজারের হড়পা বানে জেলা প্রশাসনের সক্রিতায় মৃত্যু কম। নদীর মাঝে চ্যানেল কেটে বালির বাঁধ দিয়ে গতি পথ পরিবর্তন করা হয়েছে। ঘটনার পর এই অভিযোগ উঠে এসেছে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং সাধারন মানুষের পক্ষ থেকে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে নদির মধ্যে চ্যানেল কাটার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
বলেন, তবে নদির গতি পথ পরিবর্তনের জন্য যে ডিফ্লেক্টরের দরকার হয়, সেই রকম কোন ডিফ্লেক্টর কিন্তু দেখা যায়নি। পাশাপাশি এদিন নদী বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করার কথাও জানালেন জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু। শুধু তাই নয় জেলা শাসকের দাবি মাল নদীতে হড়পা বানের মত ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটনায় জেলা প্রশাসনের সক্রিয় ভুমিকা ছিল তা না হলে আরও অনেকের মৃত্যু হওয়ার সম্ভবনা ছিল বলে এদিন সাংবাদিক সন্মেলনে জানালেন জেলা শাসক।
আরও পড়ুন – একাদশীর দিন নিরঞ্জন হয় কুমারডিহির মিশ্র ও ভাটপাড়ার দুর্গার
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জেলা শাসক বলেন, মাল নদিতে জল খুবই কম ছিল। তাই প্রতিমা ভাসানের জন্য নদিতে চ্যানেল কাটিং করা হয়েছিল জলের গভিরতা বাড়ানর জন্য। কিন্তু নদির গতি পথ পরিবর্তের জন্য যে ডিফ্লেক্টরের প্রয়োজন সেটা দেখা যায়নি। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে জেসিবি ছিল। সেই জেসিবিতে অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা দড়ি দিয়ে অনেককে উদ্ধার করেছেন। তা না হলে দুর্ঘটনায় আরও অনেকের মৃত্যু হতে পারতো। মৃতের পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে দুই লক্ষ টাকা ও জখমদের পঞ্চাশ হাজার টাকা সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৫ জন আহতের চিকিৎসা চলছে, আহত ৮জনকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানান জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু। হড়পা বানে