ভূয়ো সোনার কয়েন প্রতারণা চক্রের গ্রেপ্তার একাধিক, আটক প্রতারণা কাজে ব্যাবহৃত বহু জিনিষ। ভূয়ো সোনার কয়েন প্রতারণা চক্রের হদিস। বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে রবিবার ৬০০০ বেনামে সিম কার্ড, ৭৩৯টি ভুয়ো আধার কার্ড, ৩৫টি ফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, এবং একটি ওয়াইফাই রাউটার উদ্ধার করা হয়।
এই সকল জিনিসপত্র উদ্ধার করার পাশাপাশি বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত চারজন হলেন প্রণব মন্ডল, মানব মন্ডল, কার্তিক চন্দ্র মন্ডল এবং অমিত মন্ডল। প্রত্যেকের বাড়ি সাঁইথিয়া থানা এলাকায়। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হবে। এখন প্রশ্ন হল এই বিপুল সংখ্যক ভুয়ো আধার কার্ড, সিম কার্ড পুলিশের হাতে এলো কীভাবে? বীরভূম জেলা পুলিশের তরফ থেকে নকল সোনার কয়েন বিক্রি করার নামে যে প্রতারণা চক্র চলে সেই প্রতারণা চক্রের তদন্তে নেমে প্রথমে দুজনের হদিশ পায়।
আরও পড়ুন – টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ভারতের, আনন্দে মাতোয়ারা শহরবাসী
তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলে এবং তারপরেই তাদের গ্রেফতার করা হয় ও ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশের তরফ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি হানা দিয়ে এই বিপুলসংখ্যক জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ভুয়ো আধার কার্ড এবং সিম কার্ড নকল সোনা বিক্রির নামে প্রতারণা চক্র চালানোর পাশাপাশি অন্য কোন কাজে লাগানো হতো কিনা সেই দিক ক্ষতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।
ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া সকল ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে সিম কার্ড তোলা হত এবং সেগুলি বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজে ব্যবহার করা হতো। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে এই সকল সিম কার্ড ঠিক কোন কোন কাজে লাগাতো অভিযুক্তরা। পাশাপাশি পুলিশের আশঙ্কা পড়শী রাজ্যে ঝাড়খণ্ডের যাতে এই ধরনের একটি চক্র কাজ করে, যাদের কাজ ভূয়ো সিম ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করা। সেই বিখ্যাত গ্যাং এর সাথে এদের কোনো যোগসূত্র আছে কি না সেটাও পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।