জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ইকুয়েডরের। মরুর দেশে বেজে উঠল ফিফা বিশ্বকাপের বাঁশি। সেই বাঁশির সুরে মাতল লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। ঘরের মাঠে স্বাগতিক কাতারকে স্তব্ধ করে নিজেদের বিশ্বকাপ যাত্রা দারুণভাবে শুরু করল ইনার ভ্যালেন্সিয়ার দল। অন্যদিকে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো স্বাগতিক দল আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে গেল। রোববার কাতারের খোর শহরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে আসরের প্রথম ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইকুয়েডর।
জয়সূচক দুটি গোলই এসেছে ইকুয়েডরের অধিনায়ক ইনার ভ্যালেন্সিয়ার পা থেকে। প্রথম ম্যাচের প্রথম গোল এসেছে পেনাল্টি থেকে, পরেরটি আসে হেড থেকে। নিজেদের মাঠে ম্যাচ জমিয়ে তুলতে ব্যর্থ কাতার। উল্টো একের পর এক আক্রমণে শুরু থেকেই চাপ ধরে রাখে ইকুয়েডর। ম্যাচের ৫৩ভাগ সময় বল দখলে রাখে ইকুয়েডর। এই সময়ে আক্রমণ করে ৬ বার। যার ৩ টি ছিল অনটার্গেট শট। বিপরীতে ৫ বার আক্রমণ করে একটিতেও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। এদিন ম্যাচের শুরুতেই সুযোগ পেয়ে যায় ইকুয়েডর। পঞ্চম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ডি বক্সে বল বাড়ান ফেলিক্স টরেস।
পাস পেয়ে হেড দিয়ে বল ঠিকানায় পাঠান ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু অফসাইড হয়ে সেটি বাতিল হয়। এই হতাশা বেশিক্ষণ তাড়া করতে হয়নি ইকুয়েডরকে। সেই ভ্যালেন্সিয়াই লাতিন আমেরিকার দেশটিকে লিড এনে দেন। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ফাউল করে বসেন কাতারের গোলরক্ষক সাদ আলশিব। যার খেশারত দিতে হয় পুরো দলকে। কাতারি গোলরক্ষক ভ্যালেন্সিয়াকে ডি বক্সের মধ্যেই ফাউল করেন। তাতে সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড দেখেন আলশিব। আর পেনাল্টি পেয়ে সফল স্পট কিকে দলকে লিড এনে দেন ভ্যালেন্সিয়া।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইকুয়েডর। এবারের গোলটিও আসে ভ্যালেন্সিয়ার পা থেকে। তাঁর জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ইকুয়েডর। বিরতির পর নিজেদের রক্ষণে জোর দেয় ইকুয়েডর। যা ভাঙতে ব্যর্থ হয় কাতার। কয়েক দফায় সুযোগ হলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবধান কমাতে পারেনি মরুর দেশটি। তাতে হারের তিক্ততা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কাতারকে। বিশ্বকাপে ‘এ’ গ্রুপে খেলছে কাতার ও ইকুয়েডর। কাতারকে হারিয়ে এই গ্রুপে সবার আগে পয়েন্টের খাতা খুলল লাতিন আমেরিকার দেশটি। এই গ্রুপের অন্য দুদল হলো সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডস।
আরও পড়ুন – পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা
রোববার মরুর বুকে পর্দা উঠল ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। নাচ-গান আর নানান দেশের তারকাদের মন মাতানো পারফরম্যান্সে মাতল কাতারের খোর শহরের আল বায়াত স্টেডিয়াম। তারকারদের পারফর্মের কিছুক্ষণ পরই বাজল বিশ্বকাপের বাঁশি। মরুর দেশে ফুটবল বিশ্বকাপ—ব্যাপারটা অনেকটা ঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি উন্নত দেশগুলো। আয়োজকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় নানা সমালোচনা। তবে সব সমালোচনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নতুন ইতিহাসে পা রাখল কাতার। তবে আয়োজক হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারলেও মাঠে প্রথম ম্যাচেই দেখল হতাশা।