জীবনের প্রতি মুহূর্তে ভগবত গীতা বাঁচার অক্সিজেন দেয়। জীবনের প্রতি মুহূর্তে ভগবত গীতা কার্যত বেঁচে থাকবার অক্সিজেন দেয়। এই কথা একেবারে সত্য। কেননা গীতার জ্ঞান শ্রবণ করেই বহু মানুষ আজও আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়নি। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে,তাহলে গোটা বিশ্বে তথা ভারতে এত আত্মহত্যা হচ্ছে কেন? এক কথায় উত্তর , তারা জীবনে কোনো দিন গীতাকে যথার্থ ভাবে উপলদ্ধি করতে পারনি। করলে হয়তো সে আজ লড়াই করে পৃথিবীতে বেঁচে থাকত।
যেমনটা মহাভারতের অর্জুন বেঁচে ছিল। নতুন জীবন পেয়েছিল। এই কথা বলতে গেলে,ফিরে যেতে হবে কুরুক্ষেত্রের যুদ্বের সময়কালে। অর্জুন যুদ্বে প্রতিপক্ষ হিসাবে নিজের আত্মীয় স্বজনদের দেখে মন স্থির করেছিল,আমি যুদ্ব করব না। তাদের হত্যা করব না।আমি ভিক্ষা করে খাব। তারা যদি আমাকে এসে মেরে দেয় তবুও ভালো। আমি মৃত্যু বরণ করব। কিন্ত তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারব না। কিন্ত অর্জুন শেষ পর্যন্ত যুদ্ব করতে রাজি হয়। ধর্ম যুদ্বে সত্যের পক্ষে থেকে লড়াই করে।
আরও পড়ুন – নেইমারকে নিয়ে ব্রাজিল শিবিরে সুখবর
সবাইকে সেই যুদ্বে পরাজিত করেছিল। অর্জুনের এই যুদ্ব করা ও জয়ের কারণ কি ছিল? তাঁর রথের সারথি ভগবান শ্রী কৃষ্ণের উপদেশ। তিনি ওই সময়ে অর্জুনকে মহাজ্ঞান দান করেছিলেন।বুঝিয়ে ছিলেন , জীবন কি? ধর্ম কি? কর্ম কি? আত্মা কি? পরমাত্মা কি? আরও নানা দিক।ভগবানের সেই দিনের কথামৃত হল ভগবত গীতা। এখানে অর্জুন আমরা।আমরা অর্জুনের মতই ভেঙে পড়ি। নিরাশ হয়ে যায়। তখন এক মুহুর্তে মৃত্যু চিন্তা করি। এই বিষয়ে গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন “ভয় পেও না অর্জুন,আমি তো আছি।”
আরও উপদেশ তুমি কর্ম করে যাও ফলের আশা করও না। জীবনের সব সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এই গীতাকে উপলদ্ধি করতেই হবে।তাহলে বাঁচার দিশা ও সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।