কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ সুদৃঢ় করতে পথে নামার ডাক। রাহুল গান্ধী যখন কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ভারত পরিক্রমা করছেন, তখ প্রদেশ কংগ্রেস নামছে ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রায়। অধীর চৌধুরী জানান, সাগর থেকে পাহাড়কে এক মৈত্রীর বন্ধনে জুড়তে কংগ্রেস শুরু করছে এই পদযাত্রা। গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম থেকে সূচনা হবে পদযাত্রার। এখান থেকে শুরু করে কার্শিয়াং পর্যন্ত হাঁটবেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা।
সাগর থেকে শুরু করে পাহাড় পর্যন্ত পৌঁছবে ভারত জোড়ো যাত্রা। গঙ্গাসাগর থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত এই পদযাত্রায় মোট ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করবেন প্রদেশ নেতারা। এই যাত্রা বুধবার থেকে ৫৫ দিন চলবে। ৫৫ দিন পর কর্শিয়াংয়ে শেষ হবে। এই যাত্রাপথে প্রদেশ নেতারা অতিক্রম করবেন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং জেলা।
আরও পড়ুন – মিঠুনের সেটে খাবার দিতেন বাবা, এখন আমি তাঁর সিনেমার প্রযোজক : দেব
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এদিন বলেন তাঁর বিশ্বাসের কথা। যার মাধ্যমে তিনি এক আশার সঞ্চার করেন। এই পদযাত্রা থেকে কংগ্রেস আরও অনেকটা পথ এগিয়ে যাবে। ভারতেও এগোবে বাংলাতেও এগোবে। তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি, ডিভিডেন্ড দেয়। এই যে রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর সময় কত না বিদ্রুপ করা হয়েছিল, এখন সারা ভারতে রাজনৈতিক ব্যাখ্যা পরিবর্তন হচ্ছে তাঁর কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পরিক্রমার পরে।অধীরবাবু বলেন, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্য নিয়েই প্রদেশেও আমরা সেই উদ্যোগ নিয়েছিল।
ডিভিডেন্ড কী হবে পরবর্তী সময়ে জানা যাবে, নির্বাচনী ফল বলবে সেই কথা। আমার বিশ্বাস, কংগ্রেস ঠিক ঘুরে দাড়াবে। কংগ্রেসের এই যাত্রা ঘৃণা নয়, সকলকে ভালোবাসতে শেখায়। সংহতি ও সম্প্রীতির পাঠ দেবে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা। কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ