শিলিগুড়িতে টানা দুবছর পাক চরের গতিবিধি রেকর্ড ধরে শহরের একাধিক এলাকা রেইকি আন্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের। গুড্ডুকে দেওয়া চর বৃদ্ধির তালিমে মেলেনি সফলতা। তদন্তে মেলা তথ্যে খানিক স্বস্তি গোয়েন্দা বিভাগের।
শিলিগুড়িতে বাড়ি ভাড়ায় নিয়ে বিহারে চম্পারনের নিবাসী পাক চর গুড্ডু কুমার টোটো চালকের পরিচয়ের আড়ালে সেনার গতিবিধি তথ্য সরবরাহ করত পাক ডেরায়। হোয়াটস এপের মাধ্যমে সেনা ছাউনি ছবি ও গতিবিধি পাঠাতো পাক ডেরার আইএসআই হ্যান্ডলারকে। আইএসআই এজেন্ট গুড্ডুকে গ্রেফতারের পরই ১৪দিনের হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জেরা চালাচ্ছে রাজ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এসটিএফ সূত্রের খবর পাক চরকে জেরা করেই গোয়েন্দাদের কাছে পরিষ্কার হয় আইএসআইয়ের নজর রয়েছে উত্তরবঙ্গের উপর। মূলত বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান সীমান্ত সহ সিকিম হয়ে চীন সীমান্ত ঘেরা উত্তরবঙ্গের ভৌগলিক অবস্থানকে টার্গেটে করছে আইএসআই। যে কায়দায় গুড্ডুকে কাজে লাগানো হয় তাতে আরও বেশ কিছু পাক চর এই সমস্ত এলাকায় ছদ্মবেশে ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছে রাজ্য গোয়েন্দা দপ্তর।
কারন সম্প্রতি বেশ কয়েক মাস আগেই কালিম্পং থেকে পীর মোহাম্মদ নামে এক আইএসআই এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই শিলিগুড়ি শহর তলি থেকে অপর পাক চর গুড্ডুর গ্রেপ্তারির ঘটনা গাঢ় করে সেনা ইন্টেলিজেন্স ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সন্দেহকে। পীর মহম্মদের গ্রেফতারির পর পাক ডেরা থেকে বিহার নিবাসী পাক চর ইঞ্জিনিয়ার গুড্ডুর ওপর কালিম্পঙ সেনা ছাউনির ছবি ও ভিডিও পাঠানোর নির্দেশ আসে। সেসমত তার মোবাইল সিডিআর ঘেঁটে কালিম্পিঙ যাওয়ার বিষয়টিও সামনে আসে তদন্তকারীদের।
গুড্ডু অন্য কোনো এজেন্ট নিয়োগ করেছিল কিনা বা কারো সঙ্গে হ্যান্ডেলারের নির্দেশে সরাসরি দেখা সাক্ষাৎ করেছিল কিনা তা জানতে ক্রমাগত তার ওপর জেরায় চাপ বাড়াচ্ছে এসটিএফ, সেনা ইন্টেলিজেন্স থেকে সেন্ট্রাল আইবি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিহার থেকে এটিএস তদন্তকারীরাও শহরে এসে পৌছেছে বলে এসটিএফ সূত্রের খবর। তবে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের লাগাতার জেরায় সাঁড়াশি চাপের মুখে একাধিক তথ্য উঠে এলেও নতুন করে চর নিয়োগের কাজে গুড্ডু সেভাবে সফলতা পায়নি তেমনটাই প্রমান মিলেছে। এসটিএফ সূত্রের খবর গুড্ডুকে সম্প্রতি হ্যান্ডেলার চর বাড়ানোর তালিম দিয়েছিল।
তবে হ্যান্ডেলারের নির্দেশ মতো চেষ্টা করেও সফল হয়নি গুড্ডু। শিলিগুড়ি ও উত্তরবঙ্গ এবং পাহাড়ে পাক চর তৈরির তালিম কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় সে বলেই জানায় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা কর্তা। তবে তার বয়ানের সত্যতা যাচাইয়ে শিলিগুড়িতে তার ভাড়ার বাড়ি, আইএসআইয়ের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে যে সমস্ত এলাকা তার গতিবিধি ছিল সে সব এলাকা পুনঃগঠনের কায়দায় রেইকি চালাবে এসটিএফ কর্তারা। তাকে সঙ্গে নিয়েও এসমস্ত এলাকায় রেইকি চালানো হতে পারে বলেও এসটিএফ সূত্রের খবর। ধৃতকে নিয়ে তার পরিচয়ের সত্যতা ও তার বাড়িতে তল্লাশী চালাতে বিহার পাড়ি দিতে পারে এসটিএফ বলেও খবর মিলছে।
আরও পড়ুন – বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মালদহে ঢুকতেই পুষ্প বৃষ্টি শুরু
এদিকে এটিএস এর টিম শহরে পৌঁছালেও এদিন ধৃত পাক চরকে জেরা করতে এসটিএফ দপ্তরে যায়নি টিম। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে মূলত সেনা ছাউনি, ধৃতের ভাড়ার বাড়ি ভারত নগর ও শহরের যেসমস্ত এলাকা তার যাতায়াতের প্রমান মিলেছে পরিচয় গোপন করে শহরের সেসব স্থানে নিজস্ব কায়দায় তদন্ত চালাচ্ছে এটিএস। পাক চরের