রায়গঞ্জে শৈত্য প্রবাহ,সমস্যায় সাধারণ মানুষ. নতুন বছরের প্রথম দিনের আকাশ পরিস্কার থাকলেও সোমবার বছরের প্রথম কাজের দিনে রায়গঞ্জ শহর মুড়ে রইলো কুয়াশায়। সাথে ছিল তীব্র ঠান্ডা ও হালকা হাওয়া। আর এতেই কাবু হয়ে গেল শহর, গঞ্জের জনজীবন। সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ শহরে কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা ছিল কয়েক ফুট।
সকাল ৮টা নাগাদ দৃশ্যমানতা কিছুটা বাড়লেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল শুরু করে যানবাহন। এদিন সকাল থেকে দোকানপাট ছিল বন্ধ। বেলা গড়ালে কাঠে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাতেও দেখা যায় শহরবাসীকে। এদিন ছিল নতুন শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিন। প্রথম দিন হওয়ায় স্কুল গুলোতে পড়ুয়া ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতি ছিল বেশি।
আরও পড়ুন – নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিচারপতির দ্বিমত পোষণ করেন
তবে আগামী দিনে আবহাওয়া এমন থাকলে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে নিমরাজি অধিকাংশ অভিভাবক। এমন শৈত্যপ্রবাহে কাবু রায়গঞ্জ বাসী এক দোকানদার দেবজ্যোতি রায় বলেন, সকাল থেকে তীব্র কুয়াশায় ঢেকেছে রায়গঞ্জের রাস্তা। দেরীতে দোকান খুললেও দেখা নেই কোনো খরিদদারের। আরেক ব্যবসায়ী সুজয় কর্মকারের ব্যবসা আবার রমরমা। তিনি জানান, তার চা,কফির দোকানে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছে সাধারণ মানুষ।
ভালোই হচ্ছে তার ব্যবসা। হাতিয়া হাই স্কুলের শিক্ষক তাপস সাহা আবার এমন তীব্র শৈত্য প্রবাহে গরীর, দুঃস্থ অসহায় মানুষের কথা ভেবে বলেন, বেশ কয়েক বছর পরে এমন তীব্র শৈত্য প্রবাহ চলছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকে বেশ ভালো উপভোগ করছেন এই শীতের তীব্রতা। কিন্তু কিছুটা অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন দুঃস্থ, অসহায় পরিবার গুলো। তাদের জন্য খুব শিগগিরই শীতবস্ত্র বিতরণে অংশ নেওয়া হবে বলে জানালেন তিনি।
পাশাপাশি, লেপ, কম্বল, তোষকের ব্যবসা বাড়লেও হাতে বানানো লেপ, তোশকের আজকাল চাহিদা কমেছে বলে জানালেন লেপ মিস্তিরি নূর ও আবদুল ওয়াহিদ। তারা বলেন, এই শীতে রেডিমেড কম্বলের চাহিদা বেড়েছে। আমাদের কাজ আজকাল বেশ কমে গেছে।
দীর্ঘ কয়েকবছর পরে এদিন রায়গঞ্জের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ডিগ্রির সামান্য ওপরে ছিল বলে জানা গেছে। এমন তীব্র শৈত্য প্রবাহ আগামী আরও কতদিন থাকে, সেদিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।