নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিচারপতির দ্বিমত পোষণ করেন

নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিচারপতির দ্বিমত পোষণ করেন। কর্ণাটক জাজেস কোর্টে থেকে জীবন যাত্রা শুরু করে আজ তিনি দেশের সুপ্রীম কোর্টের এক সাহসিনী বিচারপতি। যিনি মতামত দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির ২০১৬ এর নোটবন্দি বা ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার নোটবাতালের সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করেন না। সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক ক্ষমতা নস্ট করতে এই নোটবন্দি বলে যে ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে তাকেও তিনি সঠিক বলে মনে করেন না। তবে টাইম বার হয়ে গেছে বলে এই সম্পর্কে আর এখন কিছুই করা সম্ভব নয়।

 

সেই তিনি, মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে রাতারাতি সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্নার এই সিদ্ধান্ত এই সময়ে আবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল। কোর্টে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে সাংবিধানিক বেঞ্চের চার সদস্য ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে নির্ভুল বলে রায় দিলেও, বিরুদ্ধ মত দেন বেঞ্চেরই সদস্য বিচারপতি নাগরত্না। যে যে লক্ষ্য সামনে রেখে ২০১৬ সালে নোটবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, সেগুলির অধিকাংশই পূরণ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন নাগরত্না। তবে একই সঙ্গে বিচারপতি জানিয়েছেন, এত দিন পরে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করার নির্দেশ দিতে পারে না আদালত।

আরও পড়ুন – স্বামীর ছবিকে সামনে নিয়ে এখনও কাঁদেন নোট বন্দির লাইনে দাঁড়ানো মৃতের স্ত্রী

তাতে কোনও সুরাহা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গে নাগরত্না বলেন, “কালো টাকা উদ্ধার, সন্ত্রাসবাদে কালো টাকার ব্যবহার ইত্যাদি বন্ধের জন্যই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইনগত দিক থেকে দেখতে গেলে এই সিদ্ধান্ত অবৈধ। আদালত কোনও সিদ্ধান্তের লক্ষ্যের দিকটি মাথায় রেখে নয়, আইনগত দিকটি পর্যালোচনা করেই রায় দিয়ে থাকে। নাগরত্নাকে স্পষ্টবক্তা হিসাবেই চেনে আইনজীবী মহল। আগেও নানা মামলার রায়ে নিজের কঠোর এবং দৃঢ়চেতা মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।