দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে গাজোলে শুভেন্দুর বিশাল কর্মী সভা। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শাসক দলের পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ও ময়দানে নেমে পড়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে মালদহে জনসভা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার দুপুরে মালদহের গাজোলের শঙ্করপুর বিএসএ ময়দানে উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা কমিটির ডাকে বিজেপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কনকনে ঠান্ডা আর উত্তুরে হাওয়ার মধ্যেই দলে দলে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জমায়েত হয়েছিলেন মাঠে।।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাংসদ,বিধায়করা এবং জেলা বিজেপির কর্মী সর্মথকরা।এদিন এই সভাব মঞ্চ থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী গাজলের মৃত ধনঞ্জয় সরকারের পরিবারকে সংবর্ধনা ও কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। জেলার গাজোল ব্লকের ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বরণ করে নেন।
এই মঞ্চে বিরোধী শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখতে শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে চোরেদের সরকার চলছে, শিক্ষাক্ষেত্রে চাকরির দুর্নীতি, থেকে শুরু করে আবাস যোজনা ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি শাসক দলকে নিশানা করেন। তিনি বলেন এই জেলায় ১০০ দিনের কাজে হরিশ্চন্দ্রপুরে ১৭ টা পুকুর কাটা হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের তত্ত্বাবধানে। অথচ সেই পুকুরের কোন অস্তিত্বই নেই। তার বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষ এই অভিযোগ এনেছেন। এছাড়াও বন্যার ত্রাণের টাকা ব্যাপকভাবে নয় ছয় করা হয়েছে।।
২০১৫ সালে জেলা জুড়ে যে ব্যাপক বন্যা হয়েছিল তাতে রতুয়া-১ ও ২ চাচল ১ ও ২ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ও ২ মানিকচক ও পুরাতন মালদহ ব্লকের বেশ কিছু অংশ ভেসে গিয়েছিল বহু মানুষ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৭ সালে অনুদান ঘোষণা করেছিল সেই অনুদানের টাকা ব্যাপকভাবে নয় ছয় হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত গুলো।ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের নামে এফ আই আর হয়েছে। কিছু পলাতক কিছু গ্রেপ্তার হয়েছে। তাই তিনি আহ্বান জানান আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ৪৩ টি আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করতে হবে।
তাহলেই আমরা আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে দেব। চোরেদের হাত থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আসব। তিনি কটাক্ষ করে বলেন জেলার গঙ্গাভাঙ্গন রোধে যে সরকার শুধু ভাষণই দিচ্ছে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আজ পর্যন্ত গাজোল এবং চাচল পৌরসভা হলো না। মিলছে শুধুই আশ্বাস। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডিএ দিতে গেলে, কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করতে হবে, নতুবা লক্ষ্মী ভান্ডার বন্ধ করতে হবে। এ সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন – নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে বিচারপতির দ্বিমত পোষণ করেন
তিনি আরো বলেন আমরা দাবি করছি এনআরসি চাই, জন্মনিয়ন্ত্রণ বিল চাই ও ইউনিফর্ম সিভিল কোড বিল চাই। এদেশে থাকতে গেলে বন্দেমাতরম বলতে হবে সূর্য নমস্কার করতে হবে। এই দেশ সনাতনীদের দেশ তাকে রক্ষা করতে গেলে শক্তিশালী নেতার দরকার। শক্তিশালী রাষ্ট্রবাদী দলের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। তাই তিনি আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে স্লোগান তোলেন আগামী বার মোদীজিকো ৪০০ পার। শুভেন্দুর বিশাল