বুধবার প্রায় নয় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) মামলায় গতকালের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কাছে আরও নথি চাইল ED। সূত্রের খবর, অভিষেক ও তাঁর পরিবারের নামে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে ? জানতে সম্পত্তির খতিয়ান চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ লোকসভার আগে দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা রক্ষায় কড়া বার্তা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের
এছাড়াও, চাওয়া হয়েছে শেয়ার কেনাবেচা সংক্রান্ত তথ্য বলে সূত্রের খবর। তিনি এখনও লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) CEO, ED-র কাছে স্বীকার করেছেন অভিষেক। ED সূত্রে খবর, কোম্পানিতে CEO-র ভূমিকা কী, জানতে নেওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। অভিষেকের গতকালের বয়ান ও ইডির কাছে থাকা তথ্য খতিয়ে দেখছেন দুই অফিসার।
প্রসঙ্গত, গতকাল প্রায় ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নিশানায় বিচারব্যবস্থার একাংশও। জিজ্ঞাসাবাদে কী জবাব দিয়েছি, পারলে আদালতে জমা দিক ইডি, চ্যালেঞ্জ করে বলেন অভিষেক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। অভিষেক প্রশ্ন তোলেন, ‘৯ বছর ধরে সুদীপ্ত সেন জেলে, ১৪ মাস ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। কী সুরাহা হয়েছে? কে ন্যায় বিচার পেয়েছে ?’
এদিকে, এজেন্সিকে অভিষেকের নিশানার পর পাল্টা জবাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Dharmendra Pradhan)। ‘অভিষেক বিচারক নন, আইন আইনের পথে চলবে। অভিষেক ভয় পাচ্ছেন কেন ? ঠাকুর ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি। শুধু সারদা বা নারদকাণ্ড নয়, কয়লা থেকে গরুপাচার, বাংলায় সবকিছুই হয়’, দুর্নীতিগ্রস্তরা বাংলার সরকার চালাচ্ছে, আক্রমণ ধর্মেন্দ্র প্রধানের। আপনার বাড়িতে টাকার পাহাড় মিললে এজেন্সি তো ব্যবস্থা নেবেই, মন্তব্য ধর্মেন্দ্রর।
অপরদিকে, তৃণমূল নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান কী, জানতে চাওয়ার পাশাপাশি ‘চোরেদের পাশে দাঁড়াবেন না’ লিখে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালকে চিঠি কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর (Kaustav Bagchi)। বুধবার বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে ফাঁকা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল (KC Venugopal) বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির জন্য অভিষেক বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। দিতে পারেননি।