পাঁচ দিন অতিবাহিত। এখনও রাজভবনের সামনে ধর্ণায় অনড় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে যত সময় না পর্যন্ত রাজ্যপালের সাক্ষাত মিলছে তত সময় এই ধর্ণা চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অবশেষে, ৯ অক্টোবর, সোমবার বিকেল ৪টের সময় সেই মুহূর্ত এল। ২০-৩০ লক্ষ চিঠি, ৩০ জন প্রতিনিধি ও সাত বঞ্চিতকে নিয়ে রাজ্যপালের দরবারে হাজির হলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, প্রায় ২০ মিনিট ধরে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তারপরেই দিল্লি রওনা দেওয়ার কথা তাঁর।
সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দিয়েছেন, তৃণমূলের তরফে যে সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে, তা নিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এদিন তৃণমূলের প্রত্যেক প্রতিনিধির হাতেই ছিল কম করে ২০০-৩০০টি চিঠি। সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যপালের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন রাখার কথা তৃণমূলের। প্রথমত, ২০ লক্ষ মানুষ আদৌ কি ১০০ দিনের কাজ করেছেন? যদি করে থাকেন, তা হলে কোন আইনের কোন ধারায় তাঁদের টাকা দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে? অভিষেকের দাবি, আইন অনুযায়ী টাকা মেটাতে দেরি হলে নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হয়। সেই টাকা দিতে হবে বঞ্চিতদের। রাজ্যপালের মাধ্যমে এই কথাগুলিই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে চান বলে জানান অভিষেক।
রবিবার রাতেই উত্তরবঙ্গ ও দিল্লি সফর সেরে কলকাতায় ফিরেছিলেন রাজ্যপাল। ফিরেই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যে কেউ আসতে পারেন, কিন্তু, তাঁদের অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা মেনে দেখা করতে আসতে হবে। তিনি বলেন, ”তৃণমূলের ৩ জন প্রতিনিধি আমার কাছে এসেছিলেন। তাঁরা চান, আমি যেন তাঁদের নেতার সঙ্গে রাজভবনে দেখা করি। আমি তাদের দার্জিলিঙে রাজভবনে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। মনে হয় তাঁরা এখানে আসতে চান না। আমি সেটা বুঝেছি।”
রাজ্যপাল অবশ্য শহরে ফেরার দিনেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাতের জন্য সময় দেন। রবিবার রাতেই তৃণমূল কংগ্রেসকে ইমেইল করে রাজভবন জানায় সোমবার বিকেল ৪টের সময় তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। সেই মতো এদিন প্রতিনিধি সাংসদ-বিধায়ক, ৭ বঞ্চিত ও ২০-৩০ লক্ষ চিঠি নিয়ে রাজভবনে পৌঁছন অভিষেক। যদিও এদিন ভিতরে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার রদ করা হয়েছিল রাজভবনের তরফে।