রাজভবনের সামনে ধর্ণা হলে মহাকরণের সামনে কেন নয়? রাজ্যের কাছে জবাব চাইল আদালত

যোগেশচন্দ্র মামলায় সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

গত পাঁচ দিন ধরে অভিষেকের নেতৃত্বে রাজভবনের সামনে ধর্ণা দেওয়ার পর অবশেষে রাজ্যপালের দেখা মিলল। তবে এবার এই নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্যকে। রাজ ভবনের সামনে যদি ধরনা চলতে পারে তাহলে মহাকরণের সামনে কেন ধরনা অবস্থান করা যাবে না। এ বিষয়ে রাজ্যের ব্যাখ্যাও তলব করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ১৬ অক্টোবরের মধ্যে হাইকোর্টে নিজেদের ব্যাখ্যা জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।

আরও পড়ুনঃ ৫ দিনের ধর্ণার পর অবশেষে ২০ মিনিটের সাক্ষাতকার রাজ্যপালের সঙ্গে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস

রাজ্যের শ্রম দফতরের অস্থায়ী কর্মীরা ধরনায় বসতে চেয়েছিলেন মহাকরণের সামনে। কিন্তু সেই অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। এর পরেই পুলিশের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন অস্থায়ী কর্মীরা। এদিন মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে তখনই রাজ্যের অবস্থান বা ব্যাখ্যা জানতে চাইলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের।

 

প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর থেকে রাজ ভবনের সামনে ধরনা চলছে তৃণমূলের। ধরনার নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ ভবনের সামনে ১৪৪ ধারা বজায় থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মঞ্চ বেঁধে টানা ধরনা চলছে, রাজ্য সরকারের কাছে সেই প্রশ্নের উত্তর চেয়ে চিঠি দিেয়ছে রাজ ভবন কর্তৃপক্ষ। একই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। অবশেষে, ৯ অক্টোবর, সোমবার বিকেল ৪টের সময় সেই মুহূর্ত এল। ২০-৩০ লক্ষ চিঠি, ৩০ জন প্রতিনিধি ও সাত বঞ্চিতকে নিয়ে রাজ্যপালের দরবারে হাজির হলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

 

এদিন রাজ্যপালের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন রাখার কথা তৃণমূলের। প্রথমত, ২০ লক্ষ মানুষ আদৌ কি ১০০ দিনের কাজ করেছেন? যদি করে থাকেন, তা হলে কোন আইনের কোন ধারায় তাঁদের টাকা দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে? অভিষেকের দাবি, আইন অনুযায়ী টাকা মেটাতে দেরি হলে নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হয়। সেই টাকা দিতে হবে বঞ্চিতদের। রাজ্যপালের মাধ্যমে এই কথাগুলিই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে চান বলে জানান অভিষেক।

 

রাজ ভবনের সামনে শাসক দলের এই ধরনার জেরেই হাইকোর্টে প্রশ্ন মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারকে। এবার আদালতে রাজ্য সরকার কী যুক্তি দেয়, তা নিয়েই কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে আইনজীবী এবং রাজনৈতিক মহলে।রাজ ভবনের সামনে শাসক দলের এই ধরনার জেরেই হাইকোর্টে প্রশ্ন মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারকে। এবার আদালতে রাজ্য সরকার কী যুক্তি দেয়, তা নিয়েই কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে আইনজীবী এবং রাজনৈতিক মহলে।

en.wikipedia.org