আপাতত স্পেন সফর সেরে দুবাইতে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যে না থাকলেও, তাঁর কানে যাচ্ছে সব খবরই। আর জি করের খবর শুনেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি হাসপাতাল তথা মেডিক্যাল কলেজে গত কয়েকদিনে যে সব অভিযোগ সামনে এসেছে, তা শুনে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কড়া ব্যবস্থা নিতে বিদেশ থেকেই এল নির্দেশ। মমতার নির্দেশ শুনে জরুরি বৈঠক করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশি। কার্যত এক গোপন বৈঠক ডাকা হয়েছিল তৃণমূল ভবনে। কয়েকদিন আগেই আরজি কর হাসপাতালে অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষকে প্রবেশে বাধা দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। আর এ কথা কানে পৌঁছতেই তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী। সে কারণেই এই বৈঠক বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পুরসভার আধিকারীকদের তলব সিবিআইয়ের
আর জি কর-এর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের ডাকা হয়েছিল ওই বৈঠকে। সূত্রের খবর, গোপন ওই বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। ‘ঘাড় ধরে সবাইকে বের করে দেব’, এমন কথাও বলতে শোনা যায় দশ মিনিটের ওই বৈঠকে। এমন কাজ যেন ভবিষ্যতে আর না করা হয়, সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আর জি কর-এ নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ ঘিরেই অশান্তির সূত্রপাত হয়। স্বাস্থ্য দফতরের নিয়োগ করা নতুন অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। এরপরেই খবর যায় প্রশাসনিক স্তরে। খবর যায় নবান্নেও।
অভিযোগ, ওঠে কোর্স শেষ হওয়ার সাত বছর পরও কোনও কোনও নেতা কেন এখনও ইউনিয়নের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করছেন? দলের স্ক্যানারে রয়েছে তাঁদের ভূমিকাও। এমনকী দল জানতে পেরেছে, ওই হাসপাতালে চিকিৎসক আর ইন্টার্নদের কাছ থেকে নাকি মোটা অঙ্কের বার্ষিক চাঁদাও নেওয়া হয়ে থাকে।
বৈঠকের গোপনীয়তা এতটাই ছিল যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বকেও এই বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আর জি কর সহ বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ইউনিট নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে দল, এমনটাই দাবি তৃণমূলের। উল্লেখ্য, আর জি কর-এর পর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও উঠেছে একগুচ্ছ অভিযোগ। সেখানেও নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। আর জি কর-এর পর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও উঠেছে একগুচ্ছ অভিযোগ। সেখানেও নাম জড়িয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের।
