বাংলা এক ও অভিন্ন।ধর্মীয় জিগির তুলে বাংলার সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি।বিরোধী মুক্ত ভারত চাইছে বিজেপি,মালদহে জনসভায় হাজির হয়ে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে এভাবেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। ভাগাভাগির রাজনীতিতে বিশ্বাসী বিজেপি, উন্নয়নের নামে ধর্মীয় বিভাজন করতে চাইছে তারা। বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে।
তিনি আরো বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছেন তারা। কিন্তু যতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন বিজেপির এই চক্রান্ত ব্যর্থ হবে বলে তিনি দাবী করেন। কেন্দ্র সরকারের জনমুখী নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কখনো তাদের বলা হয় টুকরে টুকুরে গ্যাংঙ, আবার কখনো তাদের বলা হয় নকশালপন্থী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এজেন্সির ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মীয় জিকিরকে কাজে লাগিয়ে বিভাজন তৈরির চেষ্টা বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে এখনো তা করবে বলে দাবি সুখেন্দু বাবুর।
পাশাপাশি দেবাংশু ভট্টাচার্য বিজেপিকে তুলোধোনা করেন। কমরেড থেকে রামরেড বলে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সমালোচনায় সরব হন তিনি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর জনমূখী প্রকল্পের ব্যাখ্যা করেন। রাজ্য সরকার যে প্রকল্প গুলি চালু করেছেন তার সুফল কিভাবে পাচ্ছে বাংলার মানুষ তাও তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।বৃহস্পতিবার গাজোলের জনসভায় উপচে পড়েছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভিড়। প্রবল শীতকে হার মানিয়ে জনসভা জনপ্লাবনে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন – জেলার সমস্ত স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করার নির্দেশ
উপস্থিত ছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদূর রহিম বক্সী,চেয়ারম্যান সমর মুখার্জি,বিধায়ক চন্দনা সরকার প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, সভাধিপতি এটিএম রফিকুল, আইএনটি জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল, মহিলা সভানেত্রী মৃণালিনী মাইতি,ব্লক সভাপতি দীনেশ টুডু প্রমূখ।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,চলতি মাসের ৩ তারিখ এই মাঠেই সভা করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে ছিলেন বিরোধী দলনেতা।মাঠ ভরাতে আবাস যোজনা ফরম জমা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে।তৃণমূল কংগ্রেস সভা করে বিজেপির কুৎসার জবাব দিল। বাংলা এক
