২৩ -এর পঞ্চায়েত ভোটে অবমাননা মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে উত্তর দেওয়ার সময় দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আদালত অবমাননার রুলের উত্তর দিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে রাজীবকে। তবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এ-ও জানান যে, আদালত প্রয়োজন মনে করলে আবার ডেকে পাঠাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। ৮ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় গত শুনানিতে হাই কোর্ট রাজীবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন রাজীব।
আরও পড়ুনঃ ফের পুলিশ পরিচয় দিয়ে এক মহিলার কাছ থেকে সোনার অলংকার নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা
গত ১৩ অক্টোবর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় এই রুল জারি করে আদালত। শুভেন্দুর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, রুল জারির ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে সশরীরে আদালতে এসে জবাবদিহি করতে হবে। জানাতে হবে, কেন আদালতের নির্দেশ তিনি অমান্য করেছেন?
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে গত ডিসেম্বরে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। শুধু তা-ই নয়, অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আর্জি জানান তিনি। বিভিন্ন প্রচারসভা থেকেই শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমেই অশান্তি ছড়াচ্ছে। এর পরেই কলকাতা হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। সময়সীমাও বেঁধে দেয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশন যদিও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা জানায়, হাই কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা কার্যকর করা সম্ভব নয়। কারণ, ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে রাজ্য। এ ব্যাপারে অনুরোধ করা তাদের কাজ নয়।
শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে তারা আদালত অবমাননা করেছে। এই অভিযোগ জানিয়ে ফের তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রধান বিচারপতি সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দেন। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, কমিশন যে হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করেনি, তা সংবাদপত্র মারফত জানতে পেরেছেন তিনিও।