পুরুলিয়ায় ঝালদায় রাজনৈতিক চর্চা অব্যাহত। একদিকে যেমন জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে হটাতে যখন কংগ্রেস ও তৃণমূল হাতে হাত ধরার কথা বলছে, I.N.D.I.A নামের জোটকে কংক্রিট করার কথা বলছে, তখন অন্যদিকে এই রাজ্যে বারংবার উঠে আসছে বিরোধীদের মদ্ধ্যে লড়াই। ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসেরই হাত ভেঙেই ১২ আসনের ঝালদা পুরসভা কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল ! এই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কট্টর বিরোধিতা করা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। আর এর মদ্ধ্যেই কৌস্তব বাগচির পোস্ট করা দুটি ছবি ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুনঃ টেট নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। বললেন, টেট করতে রাজ্য সরকারের আয় ২৫ কোটি
কৌস্তভ বাগচীর পোস্ট করা ছবিতে যেখানে কংগ্রেসত্যাগী কাউন্সিলরদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার ও বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ককে। এই ছবির সঙ্গে কৌস্তভ লিখেছেন, “অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করছেন, তৃণমূল ঝালদা পুরসভা দখল করল কী ভাবে ! আজ আমি না, ছবিই কথা বলুক। এসপি পুরুলিয়া, কংগ্রেস কাউন্সিলর মিঠুন কান্দু ও বিজয় কান্দু, নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার ও বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো – All in one frame।”
প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলছেন, “আমরা তো বারবার বলছি, জোরপূর্বক এই বিষয়টি হয়েছে। তাঁদের উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। এসপি তাঁর নিজের বাংলোতে তৃণমূলের বাঘমুণ্ডির যে বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর উপস্থিতিতে এই তিন কাউন্সিলর, আর এক নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার। আমাদের দাবিগুলোই পরিষ্কার হয়।”
যদিও ঝালদার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসত্যাগী কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার বলছেন, “চাপের কোনও বিষয় নয়। আমরা তো এমনিতে ঝালদার বিষয়ে এসপি সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। ঝালদাকে কীভাবে যানজটমুক্ত করা যায়। চাপের কোনও বিষয় নেই। এখানে যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁর স্ব-ইচ্ছায় যোগদান করেছেন।”
এপ্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, “এটা দেখার কী আছে। হয়তো তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করার পরে বিধায়ক এসপি সাহেবের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিচিত করাতে। এনিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। ফেসবুকের ছবি নিয়ে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাই না। তবে, এই যোগদানের পেছনে যে পুলিশের মদত আছে সেটা সবাই জানে।”
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলছেন, “পুলিশ প্রশাসনের একটা অংশ তারা যেমন লুঠের রাজত্ব চালাতে সাহায্য করছে, ভাগ পাচ্ছে, তেমনই ভোট লুঠে এবং গণনা লুঠে সাহায্য করেছে। এখন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হোক বা ঝালদা পুরসভা গঠন হোক, সেখানে এসপি-কে, আইসি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁরা প্রতিদিন এই কাজই করছেন। একটা ছবি বাইরে বেরিয়ে এসেছে। রাজ্যজুড়ে এই ছবি স্পষ্ট।”
en.wikipedia.org