পার্থর আংটিকাণ্ডে জেল সুপারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জেলের মধ্যেও কীভাবে আংটি পরে রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আদালতে। আদালতে গিয়ে জবাবদিহি করতে হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলের (Presidency Correctional Home) সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে আদালতে ধমক খেতে হয়েছিল জেল সুপারকে। ঘটনার কারণে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার পার্থর আংটিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করল রাজ্যের কারা দফতর। ইডি আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহার আদেশ ছিল, সুপারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য। এদিন আদালতে সুপারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়টি জানাল কারা দফতর। তদন্ত শেষে প্রেসিডেন্সি জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল তা আগামী ১৯ জুন জানাতে হবে আদালতে।
গত ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দিয়ে জেল সুপার দেবাশিসবাবু জানিয়েছিলেন, ওই আংটি খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় চিৎকার করেছিলেন। এই আংটি খোলার চেষ্টা করতে গিয়ে পার্থর হাতের আঙুলের চামড়া ছোড়ে গিয়েছিল বলেও আদালতে জানান তিনি। বলেছিলেন, এর জন্য স্কিন টিস্যুর ক্ষতি হয়েছে এবং চিকিৎসারও প্রয়োজন হয়েছিল। কিন্তু জেল সুপারের জবাবে সন্তুষ্ট ছিলেন না বিচারক। বিভাগীয় তদন্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এবার কারা দফতরের তরফে আদালতে জানানো হল, জেল সুপারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে তারা।
আরও পড়ুন – কলকাতার পর এ বার উত্তরবঙ্গে ধর্না কর্মসূচি মহিলা তৃণমূলের
উল্লেখ্য, জেলে থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে কীভাবে আংটি… তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইডির আইনজীবী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে প্রভাবশালী, তা আদালতের কাছে আবারও তুলে ধরতে এই আংটিকেই হাতিয়ার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীরা। তাদের বক্তব্য ছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এভাবে আংটি পরে থাকা জেল কোডের পরিপন্থী। এই ঘটনার কথা আদালতে ওঠার পরই জেল সুপারকে ঘটনার বিস্তারিত জানানোর জন্য সশরীরে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।