বালুরঘাটের রাস্তায় হঠাৎ দেখা প্রেমিকার সঙ্গে, সিঁদুরে সিঁথি ভরিয়ে দিল প্রেমিক

বালুরঘাটের রাস্তায় হঠাৎ দেখা প্রেমিকার সঙ্গে, সিঁদুরে সিঁথি ভরিয়ে দিল প্রেমিক ,এ যেন একেবারে সিনেমার মতো। প্রেমিকাকে খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ দেখা রাস্তায়। প্রেমিকের পকেটে তখন কামাক্ষা মন্দিরের সিঁদুর। দেরি না করে, প্রেমিকাকে দেখা মাত্রই রাস্তার মাঝে সবার সামনে প্রেমিকার সিঁথিতে সেই সিঁদুর পরিয়ে দিল প্রেমিক। বুধবার এমনই এক ঘটনা ঘটল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Balurghat)। এমন দৃশ্য সেলুলয়েডের স্ক্রিন ছাড়া বা টিভির পর্দা ছাড়া সচরাচর দেখা যায় না। যুবক যখন তাঁর প্রেমিকার সিঁথিতে এভাবে সিঁদুর পরিয়ে দিল, তখন প্রায় আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা আশপাশের লোকজনের। এদিকে সিঁদুর পরানোর পর কিছুটা থতমত খেয়ে যায় প্রেমিকা। কান্নাকাটি শুরু করে দেয় রাস্তার মধ্যে। আর তা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়, যুবক হয় জোর করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন বালুরঘাট থানায়। তারপর পুলিশ গিয়ে ওই প্রেমিক-প্রেমিকা সেখান থেকে নিয়ে যায় থানায়। খবর দেওয়া হয় তাদের পরিবারের লোকজনদের। কী কারণে এই কাণ্ড ঘটাল ওই যুবক, তা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

 

 

 

 

 

জানা যাচ্ছে এর আগেও বেশ কয়েকবার দুই পরিবারের মধ্যে তাঁদের বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা হয়েছিল। কিন্তু প্রেমিকার বিয়েতে আপত্তি ছিল। প্রেমিকা রাজি না থাকায় বিয়ে নিয়ে এক দোলাচলের মধ্যে পড়েছিল তাঁর পরিবারও। প্রেমিকার পরিবার থেকে প্রেমিককে কাজে মন দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত গত ১০ মে তাঁদের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই ৬ মে হঠাৎ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে বালুরঘাটে চলে আসে প্রেমিকা। প্রেমিকার দাবি, যখন ওই যুবককে কাজকর্মে মন দিতে বলা হয়েছিল, তখন নাকি যুবক তাঁকে মারধর করেছিল। এখন ওই যুবতী বলছেন, তিনি কোনওভাবেই ওই যুবককে বিয়ে করতে চান না। তিনি পড়াশোনা করতে চান। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা জানিয়েছেন, দুইজনেরই অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন –  শুভেন্দুর নিরাপত্তায় থাকা CRPF-এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার

 

 

 

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই যুবক ও যুবতী উভয়েরই বাড়ি শিলিগুড়িতে। সপ্তাহখানেক আগে তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের তিনদিন আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে বালুরঘাটে চলে এসেছিল ওই যুবতী। প্রেমিকা নার্সিংয়ের ট্রেনিং শেষ করেছে। আর যুবক শিলিগুড়িতে টিভির যন্ত্রাংশ সারাইয়ের কাজ করে। পাশাপাশিই বাড়ি দুজনের। তবে বন্ধুত্ব হয় বছর চারেক আগে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত। তারপর বন্ধুত্ব ক্রমেই ঘনিষ্ঠ হয় এবং উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।