আজ এবং আগামীকাল, রাজধানীতে তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্ণা মঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে মেগা কর্মসূচি ( TMC Delhi Chalo ) । তার আগে দিল্লিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আর এদিকে তৃণমূলের এই প্রতিবাদ কর্মসৃচি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ উড়ে এসেছে বিরোধী শিবির থেকে। সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar ) , শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) থেকে দিলীপ ঘোষ ( Dilip Ghosh ) , বাদ যাননি কেউই। সোমবার ফের একবার তৃণমূলের দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ ।
আরও পড়ুনঃ অতি বৃষ্টির ফলে জল ছাড়ল ডিভিসি, তাহলে কী পুজোর আগে বন্যা রাজ্যে?
রবিবার দিল্লি পৌঁছেন তৃণমূলের সর্ব-ভারতীয় সহ-সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি পৌঁছে রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘ বাংলার প্রাপ্য টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পারলে আটকে দেখাও। ‘ অভিষেকের চ্যালেঞ্জ নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ, ‘দিল্লি পৌঁছালে ডু অর ডাই। তার আগেই তো অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে মারা যাচ্ছে মানুষরা। যাদেরকে লোভ দেখিয়ে এসি বাসে নিয়ে গেছেন। তারা নিশ্চিন্তে আগে দিল্লি পৌঁছন। তার আগে তো ধর্নাকারি টিচাররা পৌঁছে যাচ্ছেন। আসলে দিদি প্রধানমন্ত্রী হবে এটা কেউ খাচ্ছে না। তাই দিল্লিতে হাল্লাগোল্লা করে হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে। যাতে বোঝাবে টিএমসি লড়াইতে আছে।’
শনিবার কলকাতা থেকে জবকার্ড হোল্ডারদের নিয়ে ৪৩টি বাস দিল্লি রওনা দিলেও, রবিবার ভোরে ঝাড়খণ্ডের কোডারমায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পুরুলিয়া থেকে যাওয়া ১০০ দিনের শ্রমিকদের বাস। আহত হন তৃণমূলের পুঞ্চা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন। এই ঘটনাটিকে অস্ত্র করে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজের সোশ্যাল হ্যাণ্ডেলে অভিযোগ করেন, ‘যেভাবে তৃণমূল নেতারা বিলাসবহুল বিমানযাত্রা উপভোগ করছেন, আর নিরীহ মানুষকে জীনের ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন তা নিন্দনীয়।’ এই দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেই সোমবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন দিলীপ।
দিল্লি যাত্রার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘একটা সাধারণ মানুষের গায়ে যদি কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্যে হাতে পড়ে, তাহলে ছেড়ে কথা বলবে না তৃণমূল।’ এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ এসব ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কী লাভ …. আপনাদের পেছনে কোন লোক নেই। যাদেরকে টিকিট দিয়েছেন, যারা লুটপাট করে খাচ্ছে, তারাই দিল্লি যাচ্ছে। কয়েকটা গুন্ডা, বদমাশ, সমাজ বিরোধী। আর দু একটা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা। কে আছে ওনাদের সঙ্গে, পুরো পশ্চিমবাংলার মানুষ দেখতে চাইছে অভিষেক কবে অ্যারেস্ট হবে। সে আবার অন্যকে অ্যারেস্ট করার কথা বলছে।’
রবিবার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতাদের হাতে ‘রক্ত লেগে আছে’ বলে মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে দিলীপের মন্তব্য় , ‘ ডোমের অভিশাপে গরু মরে নাকি। বারবার বলে কী লাভ আছে। গ্রেফতার কে হবে সে তো দেখা যাবে। যে গ্রেফতার হবে কিছুদিন পরে, সে আবার অন্যের গ্রেফতারের দাবি করছে। ‘