পঞ্চায়েত অফিসে আটকে সারমেয় , উপপ্রধানকে ফোন করে নিজেকে উদ্ধার করার আর্জি সারমেয়র। পঞ্চায়েত অফিসে আটকে পড়েছিল সারমেয়। কীভাবে বেরবে বুঝতে পারছিল না। শেষে ফোন করে নিজেকে উদ্ধার করতে বলল ওই সারমেয়। হ্যাঁ! ঠিকই পড়েছেন। সারমেয়ই ফোন করে নিজেকে উদ্ধার করার আর্জি জানিয়েছে। গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এগারোটি কুকুর সব সময় থাকে। তাদের মধ্যে একটি কোনও ভাবে ঘরে আটকে পরে। রাত হয়ে গেলে সে বুঝতে পারে দল ছুট হয়ে গিয়েছে বা ঘরে আটকে পরেছে। বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ফোনে সংকেত দেয়। গ্রামের লোকজনও অবাক তার এই কাণ্ডে। হুগলির গুপ্তিপাড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ। তাঁর কাছে শনিবার রাত্রিবেলা একটি ফোন আসে পঞ্চায়েত অফিসের ল্যান্ড লাইন নম্বর থেকে।
হুগলির গুপ্তিপাড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ। তাঁর কাছে শনিবার রাত্রিবেলা একটি ফোন আসে পঞ্চায়েত অফিসের ল্যান্ড লাইন নম্বর থেকে। এ দিকে, ফোন নম্বর দেখে একটু অবাকই হন বিশ্বজিৎবাবু। ফোন রিসিভ করে দু’তিনবার হ্যালো বলেন। তবে কোনও আওয়াজ পাননি তিনি। কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর একটি সারমেয়র কান্না ভেসে আসে।
প্রথমে কিছু বুঝতেই পারেননি বিশ্বজিৎ। পরে ব্যাপারটা কী তলিয়ে দেখতে ফোন ধরে রাখেন। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তখন একনাগারে ভেউভেউ স্বরে সারমেয়টি কান্নাকাটি করছে। লোকজন ডেকে বিশ্বজিৎবাবু পৌঁছে যান পঞ্চায়েত অফিসে। তালা খুলতেই দেখেন একটি সারমেয়। দরজা খুলতেই সে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন – আরডিএক্স বোঝাই ট্যাঙ্কার, গোয়া যাচ্ছে দুই পাকিস্তানি, বিস্ফোরক ফোন পেতেই তদন্তে মুম্বই…
বিশ্বজিৎ নাগ বলেন, “পঞ্চায়েতের অফিসের এই ফোনটি হটলাইন করা আছে আমার মোবাইলের সঙ্গে। কেউ হাত দিলেই মেসেজ চলে আসে। সারমেয়টি কোনও ভাবে ফোনটি ধরে। ডাক দিয়ে হয়ত জানান দিতে চায় যে সে আটকে পড়েছে। আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।”
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )