অভিষেকর কোম্পানি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় হাইকোর্টে (Lips and Bounce case) ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আলিপুর স্পেশাল কোর্টের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির ওই আবেদন মঞ্জুর করেননি বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। আদালতের নির্দেশ, নতুন করে তাঁদের ইমেলের মাধ্যমে তলব করবে না রাজ্য পুলিশ। আগামী ২১সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
অন্যদিকে ফিল্ম ইণ্ডাষ্ট্রির সাথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস আদৌ কোনো যোগ আছে কিনা সেই বিষয়ে পরের শুনানিতে সিবিআই ইডিকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি এই কোম্পানির ডিরেক্টর ও সিইওদের সম্পত্তির পরিমান জানাতে হবে আদালতকে। এবং সিনেমা জগতের কোনো ব্যাক্তি যুক্ত থাকলে তাদের সম্পত্তির পরিমানও আদালতে জমা দেওয়ার দিয়েছেন বিচারপতি।
এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী অভিযোগ করেন, ‘রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বিচারাধীন একজন বন্দির (কুন্তল) প্রভুত যোগসাজশ রয়েছে, তা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ঘটনা থেকে স্পষ্ট। এবং নিম্ন আদালত হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে তদন্তের বিষয়ে রাজ্য পুলিশের অনুপ্রবেশের রাস্তা করে দিতে পারে না। এই ধরনের নির্দেশকে অবিলম্বে খারিজ করা উচিত। নিম্ন আদালত বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু নির্দেশ দিয়েছে যার জন্য ইডির আধিকারিকদের হেনস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’ এরপরই আদালত জানায়, ইডির তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না কলকাতা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বিদেশে ডাক্তার দেখিয়ে ফিরতেই তাঁর সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই সময়ে অভিষেকের অফিসের একটি কম্পিউটারে ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মধ্যেই একজন। এই ঘটনা নিয়েই তার পরই লালবাজারে অভিযোগ জানিয়েছেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্ট্যান্ট। অভিযোগ দায়েরের পর এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার।
ইডির অভিযোগ, ওই ফাইল ডাউনলোডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের তদন্তকারী অফিসারদের কলকাতা পুলিশ হেনস্থা করছে। ফোন করে তথ্য চাওয়া হচ্ছে। ইমেল পাঠানো হচ্ছে। তাই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী অফিসারদের রক্ষাকবচ চেয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ইডি অফিসারদের আশঙ্কা এই ঘটনায় তাদের গোয়েন্দাদের আরও হেনস্থা করা হতে পারে। হেফাজতেও চাইতে পারে কলকাতা পুলিশ। সেই কারণেই গোয়েন্দাদের জন্য রক্ষাকবচ চাওয়া হচ্ছে। মামলাটি দায়ের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।