তৃণমূলের রাজভবন অভিযানের আগে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন রাজভবন চত্বরে

তৃণমূলের রাজভবন অভিযানের আগে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন রাজভবন চত্বরে

আজ রাজভবনে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজভবন অভিযান কর্মসূচি তৃণমূলের। আর যা ঘিরে কর্মসূচিকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন রাজভবন চত্বরে। সূত্রের খবর, শাসকদলের অভিযানকে ঘিরে রাজভবনের ভিতরেও আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাইরের অংশের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেডও।

আরও পড়ুনঃ রাজভবন অভিযানের আগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি তৃণমূলের

অন্যদিকে, রাজভবন অভিযানে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীদের ভিড় বাড়ছে রবীন্দ্রসদন চত্বরে। দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেখান থেকেই কর্মীরা মিছিল করে রওনা দেবেন রাজভবন চত্বরে। জওহরলাল নেহরু রোড, পার্ক স্ট্রিট ক্রসিং, এসপ্ল্যানেড থেকে রানি রাসমনি অ্যাভিনিউয়ের দিকে এগোবে মিছিল। স্বভাবতই সংশ্লিষ্ট রাস্তায় আগে থেকেই বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

একশো দিনের বকেয়া আদায়ে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রেখেও দেখা না করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। মন্ত্রীর দেখা না পেয়ে সেখানেই অবস্থানে বসেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে তাঁদের চ্যাংদোলা করে থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। এরপরই রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক।

 

সেদিন দিল্লি থেকে অভিযেক জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি। বাংলার ১ লক্ষ মানুষকে নিয়ে ৫ অক্টোবর রাজভবন অভিযান হবে। বুধবার সন্ধেয় কলকাতায় ফিরে অভিষেক ফের জানান, যে ৫০ লক্ষ বঞ্চিত মানুষের চিঠি কেন্দ্রের কাছে নিয়ে গিয়েও ওরা জমা না নেওয়ায় ফেরৎ আনতে হয়েছে, বৃহস্পতিবার সেই চিঠি রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

 

যদিও মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই রাজ্যে নেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে পৌঁছেছেন তিনি। শাসকদলের দাবি, রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।  জবাবে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে এসে দেখা করতে পারেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এমন মন্তব্য তীব্র ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। দুপুরে রাজভবনের কর্মসূচি থেকে এই বিষয়ে অভিষেক কী বলেন, সেদিকে নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

 

অন্যদিকে সম্প্রতি রাজ্যের নিরাপত্তায় কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করে রাজভবনের ভেতরের নিরাপত্তা থেকে কলকাতা পুলিশকে সরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। সেখানে এখন নিরাপত্তার দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও রাজভবনের বাইরে অংশ অর্থাৎ রাজভবন চত্বরের নিরাপত্তায় রয়েছে সেই কলকাতা পুলিশ। তাঁরাই মূলত রয়েছেন অভিযান সামলানোর দায়িত্বে।

 

en.wikipedia.org