তিস্তার হড়পা বানে বিচ্ছিন্ন সিকিমের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ, জলপাইগুড়িতে জারি লাল সতর্কতা

তিস্তার হড়পা বানে বিচ্ছিন্ন সিকিমের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ, জলপাইগুড়িতে জারি লাল সতর্কতা

মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে ছাপিয়ে গেছে তিস্তা নদীর দুপাশ। প্রবল বেগে ভয়ংকর তিস্তা নদী নেমে আসছে উত্তরবঙ্গের সমতলে। যার জেরে বিচ্ছিন্ন হয়েছে সিকিমের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের যোগাযোগ। এই হড়পা বানের ফলে জলপাইগুড়ি সহ পাহাড়ে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। তিস্তার থাবায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িতে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা।

আরও পড়ুনঃ ১ লক্ষ লোক নিয়ে দিল্লির বুকে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপিকে হুঙ্কার অভিষেকের

স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সকাল থেকে গোটা উত্তর সিকিম জুড়ে শুরু হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। বিপুল পরিমাণ জল লোনক হ্রদ ধরে রাখতে পারেনি। ফলে বাঁধ ভেঙে সেই জল সরাসরি চলে আসে তিস্তায়। মূলত হিমবাহ গলা জলে পুষ্ট তিস্তায় অতিরিক্ত জল ঝড়ের বেগে নীচে নেমে আসতে শুরু করে। পথে চালায় ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা। জানা গেছে, জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল ১৫ থেকে ২০ ফুট। সেনা জানিয়েছে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সিংথামের কাছে বারদাং সেনা ছাউনিতে পার্ক করে রাখা ৪১টি গাড়ি। ২৩ জন সেনা জওয়ানও জলে ভেসে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি। যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছে সেনা।

 

সিকিম থেকে তিস্তার জল সমতলে প্রবেশ করেছে জলপাইগুড়ি জেলায়। হড়পা বানের বিপুল পরিমাণ জল জলপাইগুড়ি দিয়ে বহমান তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বহু মানুষের। সেচ দফতর জলপাইগুড়িতে লাল সতর্কতা জারি করেছে। একই অবস্থায় সিকিমেও। সিকিম সরকার মানুষকে তিস্তার ধারে কাছে যেতে বারণ করেছে। পাহাড়ে এখনও বৃষ্টি চলছে।

 

তবে ভোরের পর থেকে আর নতুন করে মেঘভাঙা বৃষ্টির খবর মেলেনি এখনও। যদিও ভোরের মেঘভাঙা বৃষ্টির জল বইতে গিয়ে তিস্তা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিকিমের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের মূল সংযোগরক্ষাকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, তিস্তার জল ভেঙে দিয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। সড়কের বেশ কিছুটা অংশ ইতিমধ্যেই গিলে নিয়েছে তিস্তা। নতুন করে জলস্তর বৃদ্ধি পেলে জাতীয় সড়কে সম্পূর্ণ ভাবে ধুয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। সড়কের বেশ কিছুটা অংশ ইতিমধ্যেই গিলে নিয়েছে তিস্তা। নতুন করে জলস্তর বৃদ্ধি পেলে জাতীয় সড়কে সম্পূর্ণ ভাবে ধুয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।

en.wikipedia.org