খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর সিংয়ের মৃত্যুর পর ভারতের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিল কানাডা। তবে সেই সম্পর্কে উন্নতির জায়গায় দিনে দিনে আরও বেড়েছে তিক্ততা। গতকালই ভারত কানাডার ৪১ জন কুটনৈতিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করেছে। এমত অবস্থায় চাপের মুখে এখন ভারতের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে কানাডার তরফ থেকে। কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলি এই দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের জট কাটাতে নয়া দিল্লির সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনা করতে চাইলেন।
আরও পড়ুনঃ তিস্তার হড়পা বানে বিচ্ছিন্ন সিকিমের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ, জলপাইগুড়িতে জারি লাল সতর্কতা
কানাডার বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। কানাডার কূটনীতিকদের সুরক্ষাকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিই। আমরা ভারতের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা জারি রাখব কারণ আমরা মনে করি, কূটনৈতিক আলোচনা গোপনে হলেই শ্রেয়।”
মঙ্গলবার ভারতের তরফ থেকে নির্দেশ জারি করা হয়, কানাডা যেন আগামী ১০ দিনের মধ্যে ভারত থেকে তাদের ৪১ জন কুটনৈতিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। অন্যথায় নিজেদের রক্ষাকবচ হারাবেন তারা। যদিও এটা নিয়ে দুই দেশের তরফ থেকে কোনো নোটিশ জারি করা হয় নি। এরপর মঙ্গলবারই মঙ্গলবারই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “ভারতের সঙ্গে সংঘাত আর বাড়াতে চাই না আমরা। কানাডা দায়িত্ব সহকারে ও গঠনমূলকভাবে নয়া দিল্লির সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় একটি গুরুদ্বারের সামনে পলাতক খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে গুলি করে খুন করে দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। সম্প্রতিই কানাডার সংসদে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের ভূমিকা থাকতে পারে।”
ট্রুডোর এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের তরফে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে উত্তর-প্রতুত্তরের পালা শুরু হয়। আপাতত কানাডার ভিসা বন্ধ করে গিয়েছে ভারত। এ দেশের এক কূটনৈতিককে বরখাস্ত করার পর কানাডারও এক রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এইসবের মাঝেই হঠাত্ সুর নরম কানাডার। ভারতের তরফে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে উত্তর-প্রতুত্তরের পালা শুরু হয়। আপাতত কানাডার ভিসা বন্ধ করে গিয়েছে ভারত। এ দেশের এক কূটনৈতিককে বরখাস্ত করার পর কানাডারও এক রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এইসবের মাঝেই হঠাত্ সুর নরম কানাডার।
