কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যকে বঞ্চনার প্রতিবাদে আজ দ্বিতীয় দিনেও দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি তৃণমূলের। নেতৃত্বে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও রয়েছে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের। আর এই কর্মসূচির মাঝেই রাজধানীতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক। জানালেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে ১ লক্ষ লোক নিয়ে দিল্লির বুকে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুকে পাটা থাকলে আটকে দেখান।
আরও পড়ুনঃ সনাতন ধর্মই একমাত্র ধর্ম, স্ট্যালিনের দাবির পালটা যোগী
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ আনে রাজ্যের শাসক দল। সেই নিয়েই দেশের রাজধানীতে দু’দিনের ধর্না ও আন্দোলনের কর্মসূচি তৃণমূলের। যাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে যন্তরমন্তরে অবস্থান করছে তৃণমূল। সেখান থেকে সটান কৃষিভবন রওনা দেবেন তারা।
আর এবার এই ধর্না মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি হুঙ্কার দিলেন অভিষেক। বলেন, “আগামী ২ মাসের মধ্যে ১ লক্ষ লোক নিয়ে দিল্লির বুকে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুকে পাটা থাকলে আটকে দেখান।” এখানেই শেষ নয়। আরও বলেন, কৃষিভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সমাধান না মিললে বি আর আম্বেদকর ভবনে দাঁড়িয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
দিল্লির মঞ্চ থেকে অভিষেক জানান, “‘মিশন দিল্লি’র সঙ্গী ‘বঞ্চিত’ আড়াই হাজার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা মেটাবে রাজ্য সরকার। আগামী ২ মাসের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠাবে টাকা। রাজ্য সরকারের উপর চাপ হলে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক ও মন্ত্রীরা এক মাসের বেতন দিয়ে টাকা মেটাবেন।’
পাশাপাশি শুভেন্দু-সুকান্তকে নিশানা অভিষেক বলেন, আমরা প্রাপ্য টাকা আদায় করতে এসেছি। আর বিজেপি নেতৃত্ব দিল্লিতে এসেছে আবার টাকা আটকাতে। ৫০ জন সাংসদ, বিধায়ককে আটকাতে প্রায় সব পুলিশকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক, দাবি অভিষেকের।
এদিকে, তার আগেই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, তাঁদের আপত্তি প্রকৃত জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে নয়, বরং ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে চুরি আটকানোই বঙ্গ বিজেপি-র লক্ষ্য। করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, তাঁদের আপত্তি প্রকৃত জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে নয়, বরং ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে চুরি আটকানোই বঙ্গ বিজেপি-র লক্ষ্য।