পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিমান দুর্ঘটনার ফলে একবার পায়ে ছোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের আবার স্পেন সফরে গিয়ে সেই বা পায়েই ছোট পেলেন তিনি। তাই স্পেন সফর থেকে ফিরে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বিকেলে ঘড়ির কাঁটায় যখন চারটে পাঁচ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee wounded) গাড়ি এসে থামে এসএসকেএম হাসপাতালে। জানা যায়, কিছুদিন আগে পাওয়া পায়ের চোটের চিকিৎসা করাতেই হাসপাতালে এসেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এমআরআই (Mamata MRI) ও অন্যান্য পরীক্ষা হয়েছে। ১০ দিন তাঁকে নিয়ন্ত্রিত চলাফেরা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ মানুষের স্বার্থে এবার স্মার্ট নিয়মে সাজানো হচ্ছে রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেবকে বায়ুসেনার এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করাতে হয় মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টারকে। সেইসময়ই কোমরে ও পায়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। কলকাতায় এসে এসকেএমে চিকিৎসাও করাতে হয়েছিল মমতাকে। রবিবার সেই চোটের চিকিৎসা করাতেই ফের হাসপাতালে যান তিনি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন। গত সপ্তাহে সেই একই জায়গায় ফের আঘাত পান তিনি। এদিন তাঁর এমআরআই সহ একাধিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। কিছু সমস্যা ধরা পড়েছে। এখনই স্বাভাবিক চলাফেরা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ১০ দিন কি বেড রেস্টে থাকতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে? সাংবাদিকদের প্রশ্নে চিকিৎসকরা জানান, বেড রেস্টের প্রয়োজন নেই। তবে চলাফেরা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। সন্ধে সাতটার পর হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যান মমতা।
১২ দিন বিদেশ সফর সেরে শনিবারই কলকাতায় ফিরেছেন মমতা। মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, দুবাইয়ে একাধিক শিল্প সম্মেলন করেন তিনি। শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় ফিরে মমতা বলেছিলেন, ‘বাংলার জন্য অনেক কাজ করতে পেরেছি। আপনারা জানেন অনেক বড় বড় চুক্তি হয়েছে। এত সাকসেসফুল কর্মসূচি কমই দেখেছি। প্রবাসী ভারতীয় ও বাঙালিরা খুব খুশি।’ মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, দুবাইয়ে একাধিক শিল্প সম্মেলন করেন তিনি। শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় ফিরে মমতা বলেছিলেন, ‘বাংলার জন্য অনেক কাজ করতে পেরেছি। আপনারা জানেন অনেক বড় বড় চুক্তি হয়েছে। এত সাকসেসফুল কর্মসূচি কমই দেখেছি। প্রবাসী ভারতীয় ও বাঙালিরা খুব খুশি।’