হয় সরকার নতুন করে জাতি গণনা করুক, নইলে মনমোহন সিং সরকারের আমলের জাতি গণনার রিপোর্ট পেশ করুক, রাহুল

হয় সরকার নতুন করে জাতি গণনা করুক, নইলে মনমোহন সিং সরকারের আমলের জাতি গণনার রিপোর্ট পেশ করুক, রাহুল

সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে শুরু করে লালু প্রসাদ-মুলায়ম সিংয়ের মতো হিন্দিবলয়ের আঞ্চলিক শক্তি বারাবার দাবি তুলেছে যে মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়টিও ঢোকানো হোক। অর্থাত্‍ অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারাও যেন সংরক্ষণের সুবিধা পান। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এদিন বলেন, কেন্দ্রের সরকারের ৯০ জন সচিবের মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ হলেন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি তথা ওবিসি। এই সংখ্যাটা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য অপমানজনক। সনিয়া গান্ধীর মতই দেশে জাতি গণনার জন্য দাবি তুললেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর দাবি, হয় সরকার নতুন করে জাতি গণনা করুক। নইলে মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে জাতি গণনা হয়েছিল তার রিপোর্ট পেশ করুক।

আরও পড়ুনঃ নিয়োগ মামলায় সিবিআই অধিকর্তার রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বুধবার লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছে। যা ঐতিহাসিক ঘটনা। সেই বিলে সমর্থন জানিয়ে ওবিসি (OBC) নেতাদের পুরনো দাবিকে নতুন করে তুলেছেন রাহুল। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) আরও বলেন, এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছি যে ভারত সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলি কারা। তাঁদের মধ্যে সচিবরাও রয়েছেন।

 

এই ৯০ জন সচিবই দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন। রাহুলের কথায়, ‘আমি নিজেকেই প্রশ্ন করি, এঁদের মধ্যে থেকে কতজন ওবিসি সম্প্রদায়ের। আমি উত্তর খুঁজে অবাক হয়ে গেছি। ৯০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন।’ রাহুলের কথায়, এই ৩ জন সচিব দেশের মোট বাজেটের মাত্র ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। ভারতের বাজেটের বহর যদি ৪৪ লক্ষ কোটি টাকার হয়, তা হলে এঁরা মাত্র ২.৪৭ কোটি টাকার বাজেট নিয়ন্ত্রণ করেন।

 

রাহুল এ কথা বলতেই লোকসভায় হট্টগোল শুরু হয়। জবাবে রাহুল বলেন, ‘ভয় পেও না। আমরা শুধু জাতিগত জনগণনার কথাই বলছি।’রাহুল আরও বলেন, আসলে মোদী সরকার ওবিসিদের কথা শুনতেই চান না। বিজেপি হল ওবিসি বিরোধী। যার জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই তো জাতিগত ভাবে ওবিসি। রাহুল (Rahul Gandhi) এও দাবি করেন যে এখনই মহিলা সংরক্ষণ নীতি চালু হোক। এজন্য জনগণনা বা ডিলিমিটেশনের অপেক্ষা করার দরকার নেই।

 

২০২১ সালেই দেশের জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে যায়। ফের কবে জনগণনা শুরু হবে তা এখনও জানায়নি মোদী সরকার। পর্যবেক্ষকদের মতে, হিন্দিবলয়ে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ভোট ব্যাঙ্কে বিজেপি গত দশ বছরে বড়সড় থাবা বসিয়েছে। বিজেপির সেই গ্রাস কেড়ে নিতেই কংগ্রেস জাতিগত জনগণনার দাবিতে এত আগ্রাসী।

en.wikipedia.org